আসন্ন রমজান মাসে মক্কা শরীফের মসজিদুল হারাম ও মদীনায় মসজিদে নববীতে ইতেকাফ ও দস্তরখান বিছিয়ে ইফতার আয়োজন বন্ধ থাকবে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারীর বিস্তার রোধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দু’টি পবিত্র মসজিদ বিষয়ক প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস।
তিনি বলেন, দু’টি মসজিদে আগত ব্যক্তিদের জন্য মক্কার আমিরের সহযোগিতায় প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে ইফতারের জন্য আলাদা খাবার সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মসজিদে নববীর উঠোন এবং প্রাঙ্গণে দর্শনার্থী, মুসল্লি ও অন্যদের মধ্যে সুহুর (পূর্বের খাবার) বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, মুসল্লিরা শুধুমাত্র নিজের ইফতারের জন্য পানি ও খেজুর নিয়ে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে মুসল্লিদের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে পারবেন না। এমনকি দস্তরখান বিছিয়ে ইফতারের আয়োজন করা যাবে না।
জমজম পানির স্বাভাবিক সরবরাহ বন্ধ থাকবে, তবে প্রতিদিন স্বেচ্ছাসেবীরা ২ লাখ বোতল জমজম পানি মুসল্লিদের মাঝে বিতরণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত ভিড় এড়াতে প্রতিদিন ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী দুই মসজিদে দায়িত্ব পালন করবেন।
শায়খ আস-সুদাইস এ বছরের রমজান মওসুমের জন্য প্রেসিডেন্সির পরিকল্পনা সংক্রান্ত বার্ষিক মিডিয়া বৈঠকে এ কথা বলেছেন। ওমরাহত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রমজান পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হ’ল মহামারী রোধের লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলা, ‘যার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ভ্যাকসিন গ্রহণ। এছাড়াও রয়েছে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরা’।
শায়খ আস-সুদাইস ওমরাহযাত্রী ও মুসল্লিদের গ্রহণের জন্য প্রেসিডেন্সির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘মাতাফ (পবিত্র কাবার চারপাশের প্রদক্ষিণ অঞ্চল) কেবল ওমরাহযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত করা হবে এবং গ্র্যান্ড মসজিদ এবং এর পূর্ব অঙ্গনের পাঁচটি মনোনীত অঞ্চল থাকবে নামাজের জন্য’। ওমরাহ পালনকারীরা দ্বিতীয় তলাতেও তাওয়াফ করতে পারবেন বলে ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্সি প্রধান। তিনি বলেন, ‘গ্র্যান্ড মসজিদে কর্মরত দোভাষীরা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন এবং ২৩টি ভাষায় ফতোয়া (ধর্মীয় নির্দেশ) প্রদান করবেন’। ‘শুক্রবারের খুতবায় সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দোভাষীও থাকবেন- তিনি ইঙ্গিত করেন। শায়খ আস-সুদাইস বলেন, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব অংশে আজইয়াদ ব্রিজ এবং কিং ফাহাদ গেটের সামনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ইবাদাতের জন্য বিশেষ স্থান এবং শৌচাগার থাকবে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে পুনরায় ওমরাহ চালু হবার পর থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ মাস্ক পরিহিত মুসল্লি মসজিদুল হারামে ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। সূত্র : সউদী গেজেট ও আরব নিউজ।