মহেশখালী উপজেলার পৌর এলাকায় একটি গাড়ি রাখার গ্যারেজে আগুন নেভাতে গিয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ প্রায় ৯ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। গত ২৮ মার্চ রবিবার রাতে বহু মামলার আসামী ইয়াবা কারবারি সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজ থেকে ৬ লাখ ২২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে থানা পুলিশ। জানা যায়, ওই গ্যারেজ থেকে ৩টি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভাব হয়নি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে রাত ১টায় মহেশখালী পৌরসভা সিকদার পাড়া এলাকার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে স্থানিয়রা জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই রাত ১টার কিছু সময় পরে পুলিশের কাছে খবর আসে পৌরসভার সিকদার পাড়ায় গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। এ সময় দ্রুত পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পুলিশ জানতে পারে এলাকায় একাধিক মামলার আসামি ও ইয়াবা ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫-৬ জন পেশাদার সন্ত্রাসীরা মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়ার সমর্থকদের উপর গুলি চালায়। এ সময় ৩ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতরা হলেন- নুর হোসেন(৪২) কাউছার(৩০) ও ভূবন(৩৫)। এ ঘটনার পরপরই গ্যারেজে আগুনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় পুলিশ দেখতে পায় একটি গাড়ি রাখার গ্যারেজে আগুন জ্বলছে। বিষয়টি দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানালে -ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মহেশখালী স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে আগুনের কারণ জানতে পুলিশ ওই স্থানে অনুসন্ধান চালায়। এ সময় একটি প্রাইভেটকারের ব্যাকবক্সে সংরক্ষিত অবস্থায় বিপুল সংখ্যক ইয়াবার সন্ধান পায় পুলিশ। এখান থেকে আধাপোড়া অবস্থায় ২ লাখ ২০ হাজার পিস ও অক্ষত অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় এ গ্যারেজ থেকে প্রায়ই পুঁড়ে যাওয়া এ গাড়িটিসহ আরও ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু করে সোমবার সকাল ৮টায় অভিযান শেষ হয়। মহেশখালী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের মধ্যে এ প্রথম খুব বড় ধরণের ইয়াবা। তবে ইতিমধ্যো মূলহোতা সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান। তিনি আরো জানান, মাদকের সাথে সংপৃক্ততা কাউকে একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না।