বোরো চাল বাজারে আসলে চালের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি বোরো ধান কাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। এবার বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোরো ধান বাজারে এলে কী চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা এবার উৎপাদন বাড়ানোর যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, আমাদের যা সাধ্য ছিল করেছি। আমরা কোনো ত্রুটি করিনি। আমাদের মাঠের কর্মকর্তারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আমাদের করার ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা জানি দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। প্রতি বছর ২২ লাখ মুখ যোগ হচ্ছে, এদের অন্ন আমাদেরকে দিতে হয়। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের খাবার জোগান দিতে হচ্ছে। ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ থেকে খাদ্য কিনেই রোহিঙ্গাদের দেয়, বাইরে থেকে আনা হয় না।’
‘এবার আমাদের আলুর উৎপাদন ভাল হয়েছে। গত বছর আমরা আলু রিলিফ হিসেবে দিয়েছিলাম, এবার আমরা রোহিঙ্গাদের রেশন হিসেবে আলু দেয়ার কথা বলেছি। গমও এবার ভাল হয়েছে। ভুট্টার ফলন আবার একটু কমে আসছে, মানুষ ধানে চলে গেছে, বাংলাদেশের মানুষ যখন যেটায় দাম পায় সেটায় ঝুঁকে।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ধান যদি আমরা ঘরে তুলতে পারি, যদি কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় ইনশাআল্লাহ ধান-চালের দাম ইতোমধ্যে স্থিতিশীল হয়েছে, এটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে। এটুকু আমি বলতে পারি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এটাও কিন্তু ঠিক আমরা ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেই। চালের দাম বাড়লেও যারা একদম গরিব তাদের কিন্তু অত কষ্ট হয়নি। খাদ্য নিয়ে দেশে কিন্তু কোনো হাহাকার হয়নি। আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু খবর লিখতে পারেননি। উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হয়েছে, মানুষ না খেয়ে আছে। দুর্ভিক্ষ হলে কিন্তু বাজারে চাল পাওয়া যায় না। এ রকম কিন্তু হয়নি। জেলা পর্যায়ে ওএমএস দেয়া হয়েছে। কাজেই ওরকম কষ্ট মানুষের হয়নি। কিছু কষ্ট হয়েছে আমরা সেটা স্বীকার করি।’
‘ইনশাআল্লাহ বোরো যদি আমরা ঘরে তুলতে পারি তেমন সমস্যা হবে না। আবার কৃষকের দিকটাও দেখতে হবে। আবার লেখা শুরু হয়েছে, ধানের দাম কমে যাবে কি-না। আমার মনে হয় না, এবার ধানের দামটা সেভাবে কমবে’ বলেন আব্দুর রাজ্জাক।