শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন

রাণীনগরে ডায়রিয়া রোগের চরম প্রাদুর্ভাব ॥ শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১

নওগাঁর রাণীনগরে ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই আসছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শয্যা স্বল্পতার কারণে মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বয়স্ক রোগীদের পাশাপাশি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগের প্রাদুর্ভাব চরম আকারে দেখা দিয়েছে। যার কারণে ৫০শয্যার হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়েই মেঝেতে শয্যা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত ১মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ২শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আরো শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। শয্যা ছাড়া হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধ ও অন্যান্য উপকরন রয়েছে। যার কারণে ভর্তি হওয়া রোগীদের বাহির থেকে তেমন একটা ওষুধ কিনতে হচ্ছে না। ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত আতাইকুলা গ্রামের রহিমা বিবি(৭০) জানান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু শয্যা না থাকার কারণে মেঝেতে শয্যা করে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিলকৃষ্ণপুর গ্রামের জব্বার আলী(৬৬) জানান তিনি পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে এলে চিকিসক তাকে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি ভর্তি হন কিন্তু শয্যা না থাকার কারণে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ওষুধের কোন সমস্যা নেই। হাসপাতাল থেকে যথেষ্ট ওষুধসহ অন্যান্য সেবা পর্যাপ্ত পরিমাণ দিচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন (অংকুর) বলেন প্রত্যেক ডায়রিয়া রোগীরকে ১৮-২০হাজার এমএল স্যালাইন দেওয়া লাগছে। ৫০শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা খাবার স্যালাইনসহ অন্য ওষুধ বিতরণ করছেন। ডায়রিয়ার রোগীরা ভর্তি হলে সুস্থ হতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত দিন। স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সংকটের বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও সেবিকারা সব সময় রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। শিশুদের আলাদা কর্ণারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আবহাওয়াজনিত কারণে এই সময়ে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে সকলকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে হবে, পঁচা-বাসি ও নষ্ট হওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। বেশি বেশি করে বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। আর এই রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে না হলে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com