চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল বাঙ্গি- তরমুজ। উপজেলার ফলের দোকানগুলোতে বাঙ্গি ও তরমুজ প্রচুর পরিমাণে বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। তবে অনেকটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মৌসুমি ফল। দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও স্বল্প আয়ের বেশির ভাগ মানুষের এই ফল ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এদিকে আবহাওয়া রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে কম। তবে বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে বলে বলে জানান বিক্রেতারা। জানা যায়, সাধারণত বছরের এ সময়টাতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাকে উপজেলার ফলেরদোকানগুলো জমজমাট থাকে। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে কমে গেছে ক্রেতার সংখ্যা।তার মধ্যে চলছে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউন। ফলে পরিবহন বেড়েছে দ্বিগুণ। সরেজমিনে বিবিরহাট বাজার ঘুরে দেখায় যায়, বিভিন্ন ফলের দোকানে সারি সারি করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বাঙ্গি ও তরমুজ। ছোট সাইজের প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়, বড় সাইজের তরমুজ গুলো বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়।তবে ব্যবসায়ীরা বলছে, বাজারে মিডিয়াম সাইজের তরমুজের চাহিদা বেশি।অন্যদিকে প্রতিটি বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৫০ টাকায়। এদিকে স্থানীয় কৃষকরা বলছে,আবহাওয়া ভালো থাকায় এবছর বিভিন্ন এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি বাঙ্গি ফলনও হয়েছে আশানুরূপ।তবে লকডাউনের কারণে ক্ষেতেই নস্ট হচ্ছে এসব মৌসুমি ফল। বিবিরহাটবাজারের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী শামসুল আলম জানান, ‘প্রতিবছর এসময়ে বাঙ্গি তরমুজের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকে তাই তরমুজ এনে স্তুপ করে রেখেছি।করোনার কারণে গতবছরও ব্যবসায় অনেক লোকসান হয়ছে।এবছরও চলছে সাতদিনের লকডাউন।’ বাঙ্গি ক্ষেতের চাষাবাদের জমি থেকে স্বল্প পরিমাণ বাঙ্গি বাজারে আসলেও তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদের জমি থেকে এখনো তরমুজ বাজারে আসছে না। তরমুজ বড় না হওয়ায় বাজারে এখনো ফসলী জমির উৎপাদিত তরমুজ বাজারে আসেনি বলে জানান পাইন্দংয়ের কৃষক মোহরম আলী। বাঙ্গি- তরমুজ ক্রয় করতে আসা রহিমা বেগম জানান, ‘অন্যান্য বছরের তুলনামুলক ভাবে এবার তরমুজের দাম একটু বেশি।