বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন

মোরেলগঞ্জে চলাচলের রাস্তা কেটে ঘেরের পানি নিষ্কাশন, তিন ইউনিয়নের মানুষের চরম ভোগান্তি

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী ভাষান্ডা গ্রামে ঘেরের পানি নিষ্কাশন জন্য চলাচলের সরকারি রাস্তা কেটে ফেলায় তিন ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কেটে জনভোগান্তি সৃষ্টি করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরজেমিনে জানা গেছে, অত্র ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতালড়ী ভাষান্ডা গ্রামে পাশ দিযে প্রবাহিত খালের দু’পাড়ে তিন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক পরিবার বসবাস করে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন তিন ইউনিয়নের নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি সহ হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। শত শত যাত্রীবাহী মটর সাইকেল, ভ্যান এ পথে যাতায়াত করে। কমিউনিটি ক্লিনিক, সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, তেতুলবাড়িয়া বাজার, আলীর বাজার সহ মোরেলগঞ্জ শহরে আসতে সহজ পথ হিসেবে এ রাস্তাটি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এ গ্রামের আব্দুল ছত্তার বয়াতির ছেলে কবির বয়াতি ও তার বোন মর্জিনা বেগম সহ চিহিৃত এ পরিবারটি অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এ সরকারি রাস্তাটি কেটে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের রামদা নিয়ে খুন করার উদ্যোশে ছুটে আসে। নয়ত তাদের হয়রানি কিংবা মিথ্যা মামলার স্বীকার হতে হয়। তাদের হাতে পুরো গ্রামবাসী জিম্মি। কবির বয়াতি এলাকার একজন চিহিৃত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ঘের লুট, জমিদখল সহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা আলম হাওলাদার, জলিল মৃধা, চান মিয়া হাওলাদার, জালাল হাওলাদার, শাহিন হাওলাদার সহ গ্রামবাসি জানায়, চিহিৃত এ পরিবারটি রাস্তা কেটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা তিন ইউনিয়নের মানুষ কবির ডাকাতের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এলাকারবাসী শান্তিতে বসবাস করতে চায়। এ জন্য এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল বলেন, সরকারি রাস্তা কেটে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অধিকার কারো নেই। রাস্তা ভরাট করার জন্য তাদের একাধিকবার বলা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা কেটে জনভোগান্তির অভিযোগের বিষয়ে কবির বয়াতিকে একাধিকবার তার দপ্তরে ডাকা হয়েছে তিনি আসেনি। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘের ব্যবসায়ী কবির বয়াতির বোন মর্জিনা বেগম বলেন, তার পৈত্তিক সম্পত্তিতে ১৯৯৪ সাল থেকে ঘের করে আসছে। তিনি কোন সরকারি রাস্তা কাটেনি। তার জমি কেটে ঘেরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com