করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না চিকিৎসকরাও। রাজধানীসহ সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে বুধবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত সর্বমোট ২১৫ সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি নামক এক সংগঠন সারাদেশের চিকিৎসকদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন ও যুগ্ম সম্পাদক ডাক্তার রাহাত আনোয়ার চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে চিকিৎসকের হার পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ। ইতিমধ্যেই পনেরটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, এভাবে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হতে থাকলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। এ অবস্থায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী তার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ যাবতীয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করলে সারাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৯০ জন। ফলে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৭২ জন।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অধিদফতরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শহীদুল্লাহ।
বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৭৪টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৩৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৭৭২-এ। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২০ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও পাঁচজন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৯২। শুরুতে ডা. মো. শহীদুল্লাহ পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী গ্রহণ ও বিতরণের তথ্য তুলে ধরেন।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র