শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

পৌরসভাধীন এনএ মার্কেট ও এনএ মার্কেটের শৌচাগার ইজারার লাখ লাখ টাকা বাকী রেখে ১৪২৮ সালে নতুন ভাবে ইজারা কার্যক্রম শুরুর পাঁয়তারা

মাহফিজুল ইসলাম রিপন দিনাজপুর :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১

দিনাজপুর পৌরসভাধীন এন এ মার্কেট ও এন এ মার্কেট শৌচাগারের ইজারার লক্ষ লক্ষ বকেয়ার টাকা রেখে ১৪২৮ সালে বৈশাখ মাস থেকে দরপত্রে প্রাপ্ত ইজারাদারকে কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি প্রদান করতে যাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে দিনাজপুর পৌরসভাধীন এন এ মার্কেট ও এন এ মার্কেট শৌচাগার প্রতি বছর খাতা কলমে মোটা অংকের টাকায় ইজারা প্রদান করলেও পৌরসভার তহবিলে ইজারার লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া পরে থাকলেও কি এক অজ্ঞাত কারনে পৌর কর্তৃপক্ষ আবারও বাংলা ১৪২৮ সনে বৈশাখ থেকে নতুন ইজারাদারকে কার্যক্রম করার পায়তারা শুরু করেছে। আরও জানা গেছে ১৪২৬ সালে মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্স প্রোপ্রাইটর মোঃ সোহাগ এন এ মাকের্ট ও এন এ মার্কেট শৌচাগার ইজারা নিলেও প্রায় প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা বাকী রেখে চলে যায়। ১৪২৭ সালে ইজারাদার মোঃ শামীম এন এ মার্কেট ও এন এ মার্কেট শৌচাগার দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা পেলেও ভ্যাটসহ প্রায় ১০ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বকেয়া রেখে চলে যায়। পৌরসভার শর্তাবলী অনুযায়ী ইজারা পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধ করার নিয়ম থাকলেও ইজারাদার পৌর কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে টাকা পরিশোধ না করে তার মেয়াদ শেষ করে চলে যায়। পৌর নীতিমালা অনুযায়ী ইজাদারের নিকট বকেয়া ইজারা অর্থ পাওনা থাকলে তা এক যোগে পরিশোধ করে তিনি দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যথায় তার কিংবা তাদের দরপত্র বাতিল বলে গন্য হবে লিখা থাকলেও সুকৌশলে তারাই আবার বিভিন্ন নাম পরিবর্তন করে ১৪২৮ বাংলা সনের এন এ মার্কেট ভ্যাটসহ প্রায় ১ কোটি টাকার দরপত্র মঞ্জুর হলেও তার সাথে সংযুক্ত ২৫ লাখ টাকার পে অর্ডার ছাড়া এ পর্যন্ত অন্য কোন টাকা জমা দেয়নি। এছাড়া এন এ মার্কেট শৌচাগারে ভ্যাটসহ ১০ লক্ষ টাকা দরপত্র প্রাপ্ত ইজারাদার মেসার্স আরাফ এন্টারপ্রাইজ আগামীকাল নতুন বছরের অর্থাৎ ১৪২৮ সনের দরপত্রের কার্যক্রম শুরু করার জন্য পৌর কর্র্তৃপক্ষ অনুমতি প্রদানের পায়তারা করছে বলে জানা যায়। পূর্বে বকেয়া পরে থাকা মোটা অংকের টাকা আদায় না করে কার্যক্রম শুরু করার জন্য আগ্রহ বেশী দেখাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর মেয়র স্বাক্ষরিত ১৪২৭ সালের একটি পত্রে যার স্মারক নং দিনাজ/পৌর/২০২০/৬৮২ ইজারাদার মোঃ শামীমকে ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮শত টাকা ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধের পত্র দিলেও কি এক অজ্ঞাত কারনে তা লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা ফাইলটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে গতকাল ১৩ এপ্রিল পৌরসভার মেয়র ও হাট বাজার শাখায় গেলে তারা মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পৌরবাসীর দেয়া ট্যাক্সের টাকা আদায়ের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহণ না করা পর্যন্ত নতুন ১৪২৮ সালে ইজারা বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরুর অনুমতি প্রদান না করতে অনুরোধ জানিয়েছে সচেনত পৌরবাসী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com