করোনা মোকাবিলায় যে পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া দরকার ছিল, তা সরকার নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ভিয়েতনাম-ভুটানসহ বিশ্বের বহু দেশ আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে সেখানে করোনায় মৃত্যুর হার এবং আক্রান্তের হার অনেক কম। প্রস্তুতি না নেওয়ার কারণে দেশে এখন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরবন্দী। যারা দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, তারা কোনো উপার্জন করতে পারছেন না। তারা না খেয়ে আছেন। আজ সারাদেশে খাবারের জন্য হাহাকার। অথচ এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার কোনো প্রস্তুতি নেয়নি। বারবার বলার পরও তারা প্রস্তুতি নেয়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাড়ি থেকে হাজার হাজার বস্তা চাল উদ্ধার হচ্ছে। খাটের নিচে তেল পাওয়া যাচ্ছে। এটাই কি অসহায় মানুষের সহযোগিতা করা? এটা কি করোনা মোকাবিলা?
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম স্বপনের উদ্যোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ শঙ্কার মধ্যে। এটাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে মহাসমারোহে শুরু হয়েছে চাল চুরি, তেল চুরি এবং আটা চুরি। এসব কারণে বাংলাদেশে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা বলা মুশকিল।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব অঙ্গ সংগঠন ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। আমাদের যেটুকু সামর্থ্য আছে, সেটুকু নিয়েই আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমরা কোনো সরকারি সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের নামে মিথ্যা মামলা হচ্ছে। দমন-নিপীড়ন অব্যাহত আছে, কারণ মানুষকে সাহায্য করা এ সরকার পছন্দ করে না। গরিব মানুষ মরুক, পচুক, এদের লাশ রাস্তা ঘাটে পড়ে থাক, তারপরও সরকার মনে করে, তাদের বাইরে কিছু করা যাবে না। নিজেরা কিছু করতে পারছে না। সরকার দলের লোকদের চুরি এবং ডাকাতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। অন্য কেউ যদি দায়িত্ব পালন করে, সেখানেও জুলুম করছে, অত্যাচার করছে। এ অত্যাচারের মধ্যেও বিএনপি সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। রমজান মাসে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করব।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র