শিরোনাম দেখেই চোখ কপালে উঠতে পারে যে কারো। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাও ক্রিকেট খেলে? চোখ বন্ধ করলেই যে দেশ দুটির অলিতে-গলিতে ফুটবল আর ফুটবল ভেসে উঠে, সে দেশ দুটিতে আবার ক্রিকেটও হয়? হয়! যে কারণে আইসিসির দুটি অন্যতম আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে লাতিন আমেরিকার ফুটবল প্রধান দেশ দুটি। আইসিসির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভুষিত করা হয়েছে মেসি-নেইমারদের দেশকে। সঙ্গে আরও দুটি দেশ এই পুরস্কার জিতেছে। তারা হচ্ছে উগান্ডা এবং ভানুয়াতু। গত ২০২০ সালে ক্রিকেট উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার কারণে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে এই চারটি দেশকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
আইসিসির পূর্ণ ১২ সদস্য দেশের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে গঠিত প্যানেলে রাখা হয়েছিল সাবেক ক্রিকেটার এবং নির্বাচিত কিছু সাংবাদিককেও। তারা নানা তথ্য যাচাই-বাছাই করে উপরোক্তা চারটি দেশকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। আর্জেন্টিনাকে মনোনীত করা হয়েছে ২০২০ সালে দেশটির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্প্যানিশ ভাষায় ১৭টি কোচেস, আম্পায়ার এবং স্কোরার্স কোর্সের আয়োজন করেছিল। যদিও করোনা মহামারির কারণে প্রতিটি আয়োজনই ছিল অনলাইন ভিত্তিক। আর্জেন্টিনা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এই আয়োজনের কারণে লাতিন আমেরিকায় ক্রিকেটের আকর্ষণ বেড়েছে বলে মনে করছে আইসিসি।
এই ১৭টি কোর্সের কারণে অন্তত ২৫০জন কোচ প্রশিক্ষণ নিতে পেরেছেন। যারা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে লাতিন আমেরিকাজুড়ে কাজ করে যাবেন। ক্রিকেট ব্রাজিল গত ২০২০ সালে পদক্ষেপ নিয়েছে লাতিন আমেরিকাজুড়ে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে। নারী ক্রিকেট অগ্রযাত্রায় তারা শতভাগ সফল বলে মনে করছে আইসিসি। ব্রাজিল এই ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে তাদের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ১৪জন ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে।
শুধু তাই নয়, ২০১২ সালের পর এবারই প্রথম ব্রাজিল লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অংশ নিতে পারছে। যেখান থেকে ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল বাছাই করা হবে। ক্রিকেট ব্রাজিলের প্রধান নির্বাহী ম্যাট ফেদারস্টোন বলেন, ‘ক্রিকেট ব্রাজিল সব সময়ই চেষ্টা করছে এই খেলার উন্নয়নে কাজ করার এবং বেশি বেশি নানা টুর্নামেন্ট এবং সিরিজে অংশ নেয়ার। একই সঙ্গে আমাদের নারী দলকেও এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ বছরে আমরা অনেক বেশি সফলতাও অর্জন করেছি।’ ক্রিকেট আর্জেন্টিনার প্রধান নির্বাহী এস্তেবান ম্যাকডার্মট ব্যাখ্যা করেন, কিভাবে তাদের এই কোর্সগুলো লাতিন আমেরিকায় ক্রিকেটকে প্রসারের ক্ষেত্রে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক খেলোয়াড় এবং তাদের পিতা-মাতাদের এই কোর্সগুলোর সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা ছিলেন পুরোপুরি ক্রিকেটের বাইরের মানুষ। স্প্যানিশ ভাষায় এই কোর্স আয়োজন করার কারণে অনেক বেশি মানুষের মধ্যে আমরা ছড়িয়ে দিতে পেরেছি।’