আমাদের এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের শুরু থেকেই ধর্মীয় আরাধনার পবিত্র স্থান মসজিদের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি এই স্থাপনাগুলো যুগে যুগে নজর কেড়েছে তার নন্দনশৈলি, অবকাঠামো আর কারুকার্যখচিত স্থাপত্য নিদর্শনের কারণে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নামকরা ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর পাশাপাশি নান্দনিক কারুকার্যখচিত মসজিদগুলো মানুষের নজর কেড়েছে। বর্তমানে দেশের অন্যতম সৌন্দর্যময় মসজিদের মধ্যে বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ অন্যতম? এটি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা সদরে অবস্থিত। বীর বাঘবের গ্রামের মাহমদ ব্যাপারী প্রথম নিজ জমিতে প্রায় ৩০০ (তিন শত) বছর পূর্বে মসজিদটি নির্মাণ করেন। ভিন্ন আঙ্গিকের এই মসজিদটি প্রথম নির্মাণের সময় সাতটি গুম্বুজ ছিল। লোক মূখে শোনা যায় এই মসজিদের ভিতরে অলৌকিকভাবে বা গায়েবীভাবে কুরআন তেলওয়াত শোনা যেত। ফলে এই মসজিদটি ফজিলতের মসজিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জুম্মার নামাজে প্রচুর লোক সমাগম হতো এবং তা মসজিদের ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যেত। এভাবে দিন দিন মুসল্লিদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। সময়ে সময়ে এলাকার মানুষের হাত ধরেই এর উন্নয়ন কাজ চলে। সর্বশেষ মসজিদটির জুম্মার মুসল্লিদের কথা বিবেচনা করে নরসিংদী জেলার বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী, ও সমাজসেবক থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির মোল্লা কর্তৃৃক বর্তমান অবকাঠামোটি নির্মিত হয় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে। এর ফলে মসজিদটির ধারণ ক্ষমতা ১২০০০/-(বার হাজার) জন হয়। তবুও পবিত্র রমজান মাসে জুমাতুল বিদার জুম্মার নামাজে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ প্রায় ২০-২২হাজার মুসল্লি হয়। এই মসজিদের নজরকাড়া সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এই উপজেলার বাহিরে ও পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা হতে এই মসজিদে জুম্মার নামাজে মুসুল্লি আসে। অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী এই মসজিদটি বর্তমানে এ উপজেলার একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে ও বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে এর সুনিপুণ নির্মাণশৈলীর কারণে।