পটুয়াখালীর দশমিনায় অনুকূলে আবহাওয়ায় চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসিও। ইতি মধ্যে কিছু কিছু এলাকয় আগাম বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে চাষিরা। মহামারি করোনা লকডাউনে দাম নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছে চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭ ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ১হাজার ৫০হেক্টর জমিতে হাইব্রীড বোরো চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর বেশি। এখন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সোনালি ধানের পাকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে পাকা ধানের গন্ধ। বোরো চাষিদের ঘরে বইছে সুদিনের বাতাস। উপজেলা জুড়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ভোরের সূর্য উঁকি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাষি ও শ্রমিকরা দল বেঁধে নেমে পড়ছেন ধান কাটতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরলস ধান কাটছেন তারা। দম ফেলার যেন সময়টুকু নেই কারো। সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল শ্রমিক ধান কেটে রাখছেন ক্ষেতের মাঝে। আরেক দল সেই ধান মাথায় কিংবা গাড়িতে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতেও চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এ যেন বিশাল কর্মযজ্ঞ। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে ধান মাড়াই, সিদ্ধ, শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আরো দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িতে ব্যাপারীরা গিয়ে ধান কিনে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখছেন পরবর্তীতে ধান কেনার জন্য। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে খুশি উপকূলীয় অঞ্চলের চাষিরা। কৃষকদের এমন ব্যস্ততা চলবে আগামী মাস পর্যন্ত। উপজেলার গছানী গ্রামের বোরো চাষি মো. জাকির হোসেন বলেন, এবার বোরো ধান চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে। পানির অভাবে খরচটা একটু বেশি হয়েছে। মহামারি করোনার লকডাউনে দুচিন্তায় আছি দাম নিয়ে। এদিকে একই ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মো. শাহ আলম খাঁ বলেন, চলতি বছরে প্রায় ১৬ গোন্ডা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। আর এতে ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু এক সময় আমরা শুধু আমন ধান চাষ করতাম। এখন বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করে আসছি। আর লাভও বেশি। সার ও পানির সমস্যা সমাধান হলে আমরা আরো লাভবান হবো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু জাফর আহম্মেদ বলেন, এবার প্রতি হেক্টরে স্থানীয় জাতের ২.৫টন, উফশী ৪.৫টন আর হাইব্রীড ৫টন ধান নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষির আশা অনুরুপ ফলন হওয়াতে তারা খুব খুশি।