ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে উপজেলার শিরিশ কাঠ খাল কেটে কৃষকদের ফসল চাষের সুযোগ ভাগ্যে জোটেনি। কালের স্বাক্ষীর মত দাড়িয়ে রয়েছে প্রায় দু,যুগ ধোরে। সুইচ গেট অকেজো থাকায় বোরো ফসল চাষের কোন উপকারই আসে না এলাকার কৃষকদের। বলরামপুর গ্রামের পল্লি চিকিসক রেজাউল ইসলাম জানান, কুল্টিখালি খালটি মাটি কেটে এলাকার ৬ গ্রামের কৃষকরা ধান,পাট, ছোলা,মশুরি, আখসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করবে এমন চিন্তা ভাবনা করেছিল কৃষি বিভাগ। সে লক্ষে ১৯৯৮/৯৯ সালে ঝিনাইদহ এলজিইডি খালটি খনন করে দু,নলা সুইচ গেট তৈরি করে। নিমান করতে ব্যায় হয়েছিল ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৮ টাকা। এ খালে পানি বদ্ধ রেখে বলরামপুর, ভোলপাড়া, হরিগোবিন্দপুর, বলাকান্দ, মহেশ^রচাদা, আড়–য়াশৈালসহ একাধিক গ্রামের কৃষকরা এ পানি দিয়ে তাদের জমির ফসল চাষ করবে। কিন্তু দীর্ঘ ২৪ বছর ধোরে কোন উপকার কৃষকরা পায়নি। কুল্টিখালি খালের পানি দিয়ে প্রায় ২০হাজার হেক্টর জমির ফসলে আবাদ হবার কথা ছিল। সে সময়ে এলাকার কৃষকদের ভাগ্যে পরিবর্তনের চিন্তা করে কৃষি বিঞ্জানী ডঃ গুল হোসেন ও কমরেড় উমর আলীর যৌথ চেষ্টায় কুল্টিখালির খালের উপর সুইচ গেট তৈরি করেছিল। সে সময়ে নির্মান কাজে ও ব্যাপক ত্রুটি হয়েছিল বলে কৃষকরা কোন উপকার পায় নাই। এ প্রকল্পের পানি বন্ধন থাকবে ও এলাকার কৃষকরা খালে মাছ, হাসের চাষ ও খালের দু,পাশে বিভিন্ন প্রকার বৃক্ষ রোপন করবে। কিন্তু কোন কিছুই বাস্তবায় হয়নি। সুইচ গেটটি ২৪ বছর ধরে অকেজো রয়েছে। এলাকার কৃষকরা বলছেন সুইচ গেট অকেজো থাকায় ও খালটি শুকিয়ে চৌচির হবার কারনে আমাদের কাজে আসছে না। সুইচ গেটের ঢালা মেরামত না করায় ও খালটি সংস্কার না করার কারনে খালে পানি জমাট হয় না। বর্তমানে মরা খালে পরিনত হয়ে রয়েছে। দাড়িয়ে রয়েছে কালের স্বাক্ষী সুইচ গেটছি। গেটের শ্লাবের উপরে এলাকার মানুষ নানা কাজে ব্যবহার করছে। খালের উপর অপ্রয়োজনীয় সুইচ গেইট নির্মাণ এর ফলে সরকারের অপচয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকা টাকা। ১৯৯৮ সালে এ টাকা ব্যায় করে। সে সময়ে ডঃ গুল হোসেন, কমরেড উমর আলী, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল হক লিটনসহ অনেকেই বিভিন্ন দপ্তরে সুইচ গেটটি চালু করনের জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজে আসেনি। সময়ের ব্যবধানে একদিকে যেমন খালবিল ভরে সমতল ভূমিতে পরিনত হয়েছে অন্যদিকে উপজেলায় পাকা রাস্তা নির্মানের ফলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই এলাকার কৃষক ফসল উৎপাদনে সেচ নির্ভর হয়েছিল কুল্টিখালি এই সুইচ গেটটি। কিন্তু কৃষকরা আজ বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। কৃষিখাত পড়বে হুমকির মুখে বলে এলাকার জনগন দাবি করেন। তাই সুইচ গেইট নির্মান করলে খালের ও খালটি খনন করে পানি ধারনের উপযোগী করলে কৃষকরা উপকার পাবে। এলাকার কয়েক হাজার কৃষক জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। পানি দেওয়ার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বোরো জমি চাষের পর ফাল্গুন-চৈত্র মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির জন্য কৃষকদের অপেক্ষা করতে হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, এখন আর জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হয় না। কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় পানির জন্য নিজেরা স্যালো মেশিন বসিয়ে নিয়েছে ফসল চাষের জন্য। আবার চৈত্র ও বৈশাখ মাসে পানির স্তর নিচেয় নেমে গেলে তাদের স্যালো মেশিনে পানি উঠতে চায় না। খালটি খনন করলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির ব্যবস্থা হবে। ফলে কৃষকরা সহজেই জমিতে পানি দিতে পারবে। কুল্টি খালি খালটি খনন করা হলে কৃষকদের জমিতে পানি দিতে কোনো সমস্যা হবে না। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে তারা বাম্পার ফলন পাবে বলে অনেকেই আশা করেন। খাল খনন না করার কারণে এখন জমিতে পানির অভাব রয়েছে। খাল খননে পানি সেচের সুবিধা পেলে কৃষকদের ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।