পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ডুমুরিয়া ও চরখালী টহল ফাঁড়ির বনে লোকালয়ের শত শত মহিষ অবাধে বিচরণ করছে। মহিষে সাবাড় করছে নতুন গজিয়ে ওঠা চারাগাছসহ বনের গাছপালা তরুলতা। বাধা গ্রস্থ হচ্ছে বনায়ন। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বগী ফরেষ্ট ষ্টেশনের অধীন ডুমুরিয়া ও চরখালী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, চালিতাবুনিয়া, তেরাবাকা ও পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ার সাপলেজা, নলী এবং বরগুনার পাথরঘাটা রচরদুয়ানী, কাঠালতলী সহ আশে পাশে অন্যান্য এলাকার অধিবাসীদের পালিত শত শত মহিষ ঘাষ খাওয়ানোর জন্য সুন্দরবনের ডুমুরিয়া ও চরখালীর বনে ছেড়ে দিয়ে যায়। মহিষগুলো দিবারাত্রি বনের মধ্যে চড়ে বেড়ায়। বনে গজিয়ে ওঠা চারা গাছসহ অন্যান্য গাছপালা খেয়ে সাবাড় করছে মহিষ। এতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে নতুন বনায়ন। বর্তমানে প্রায় তিনশত মহিষ ডুমুরিয়া থেকে চরখালী হয়ে সুদুর শাপলা টহল ফাঁড়ি পর্যন্ত বিচরণ করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানায়,বনে মহিষ চড়ানোর জন্য টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের মাসিক চুক্তিতে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। মহিষের মালিকরা সম্মিলিতভাবে টাকা পরিশোধ করে থাকে। বনে মহিষ চড়ে বেড়ানোর খবর শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ উর্ধতন কর্মকর্তারা জানলেও অজ্ঞাত কারণে তারা বিষয়টি না জানার ভান করে চলেছে বলে নির্ভরযোগ্য ঐ সূত্রটি জানায়। এব্যপারে বগী ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা সাদিক মাহমুদ বলেন, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। বনে মহিষ চড়ে বেড়ানোর কথা জানতে পেরে তিনি ডুমুরিয়া ও চরখালী টহল ফাঁড়িকে চিঠি দিয়ে মহিষ সরিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে মহিষ চড়ানোর কথা তার জানা নেই বিষয়টি খোজঁ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।