বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের প্রচন্ড খর তাপেও চোখ জুড়ানোর সাথে প্রশান্তি নিয়ে এসেছে অগ্নি রাঙা কৃষ্ণ চূড়া। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের একটি অতি পরিচিত ফুল। গ্রাম কিংবা শহর এখন গ্রাম সব খানেই প্রকৃতি প্রেমিদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণ চূড়া। কৃষ্ণ চূড়ার অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠেছে ভাবুক মন। বাংলা কাব্য, সাহিত্য ও সংগীতে নানা উপমায় ব্যঞ্জনায় বরাবর উঠে এসেছে কৃষ্ণ চূড়ার ফুলের রূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা। শোভা বর্ধণকারী এ ফুলের বৃক্ষ টি এখন সান্তাহার পৌর শহরসহ পাশ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের আনাচে কানাচে পথে প্রান্তরে চোখে পরছে। সান্তাহার হার্ভে স্কুল রোড়ের প্রবাসী পাড়ার জোড়া পুকুর পাড়ে কৃষ্ণ চূড়া রঙ ছড়িয়ে রঙিন হয়ে পথিকের চোখ জুড়িয়েছে। এ গাছটিতে আসা রঙিন ফুল জোড়া পুকুরের মাঝখানে নির্মিত সড়কের চেহারা পরিবর্তন করে ফেলেছে। অপরূপ সৌন্দর্যের কৃষ্ণ চূড়া ফুলের রূপ ছড়ানো দৃশ্য ও জোড়া পুকুরের মাঝখানের পরিষ্কার রাস্তার পাশে বসে সময় কাটানোর জন্য বিকেল অথবা সন্ধ্যার পর অনেকেই এসে বসেন। গত কয়েক বছর আগে পুকুরের মাঝ খানের এ রাস্তার অবস্থা খুবই সরু ছিলো তার ওপর স্টেশন এর যাত্রীরা আবার মল মূত্র ত্যাগ করতো। এ রাস্তা দিয়ে যাবার তেমন ভালো পরিবেশ ছিলো না। সম্প্রতি সান্তাহার পৌরসভা একটি সড়ক নির্মাণ করে পাশ দিয়ে বসার এবং রাতের বেলায় আলোর ব্যাবস্থা করায় এ রাস্তা দিয়ে এখন পথচারীরা সহজেই স্টেশনে যাতায়াত করতে এবং পাশে বসে কিছুক্ষন সময় কাটাতে পারছে। সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনীর বাসিন্দা রাকিবুল হাসান সুজন হোসেন বলেন, বর্তমানে কৃষ্ণ চূড়ার গাছটিতে ফুল আসা শুরু হওয়ায় রাস্তাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ঐ স্থানের পরিবেশের পরিবর্তনে লোকসমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন সেখানে বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চটপটি ফুসকা এবং পাশে চায়ের দোকান খোলা থাকছে। বলা যেতে পারে একটি কৃষ্ণ চূড়ার গাছ এবং গাছের আগুন ঝরা চোখ রাঙানো ফুলের কারনে পরিবেশটা বদলে গেছে। এ ব্যাপারে সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু জানান, জন স্বার্থে পৌর সভার উদ্দ্যোগে এ রাস্তাটি করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে কৃষ্ণ চূড়ার গাছে ফুল এসে দৃষ্টি নন্দন করে তুলেছে।