দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ বলেছেন জলাতঙ্ক একটি ভয়ংকর মরন ব্যাধি। বিশ্বে প্রতি বছরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক রোগে মারা যায়। জলাতঙ্ক রোগ মূলত কুকুরের কামড় বা আচঁরের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়া বিড়াল, শেয়াল, বেজি,, বানরের কামড় বা আচঁরের মাধ্যমেও এ রোগ হতে পারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ লক্ষ মানুষ কুকুর, বেড়াল, শেয়ালের কাপড় বা আচঁরের শিকার হয়ে থাকে যাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে বর্তমানে নির্মূল কর্মসূচী বাস্তবায়ন চলছে। জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা বিনামুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৩ মে সোমবার দিনাজপুর সদর উপজেলা সভা কক্ষে কুকুরের ২য় ডোজ টিকাদান প্রদান উপলক্ষে দিনাজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আয়োজনে এবং জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচী, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপক হারে কুকুরকে টিকা দান (এমডিভি) কার্যক্রম- ২০২১ এর দিনাজপুর সদর উপজেলা অবহিত করন সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শাহিনুর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান জুয়েল, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমির হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মমিনুল ইসলাম, অশোক কুমার রায়, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আরোজ উল্লাহ। বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মুখ্য আলোচক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী ঢাকা ডিস্ট্রিক কো-অর্ডিনেটর নাদিম মাহমুদ। অবহিতকরন সভায় জিও এনজিও, স্বাস্থ্য প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।