শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার, ব্লাউজ, পেটিকোট, সেলাইছাড়া থ্রিপিস ইত্যাদি থান কাপড়ের দোকানগুলো বেচাকেনা শেষ করতো রমজানের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে। করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে এবার ঈদবাজারে ভাটা পড়েছে। লকডাউনের মধ্যেই কয়েকদিন ধরে দোকানপাট খোলা রাখা হলেও বিকিকিনি নেই বললেই চলে। এমন চিত্র গত কয়েক দিন যাবত চোখে পরছে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা বৃহৎ বাজার কোম্পানীগঞ্জে। কোম্পানীগঞ্জ কলেজ মার্কেট সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মজনু বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির খবর, তীব খড়তার উত্তপ্ত গরম, গণপরিবহন বন্ধ, কর্মজীবীদের বেতন-বোনাসের অপেক্ষাসহ নানা কারণে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। তিনি আরো জানান, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে (মার্কেট) আড়াই হাজার ছোট-বড় দোকানে ২০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঈদবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন।আশা করছি, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রেডিমেড পোষাক পণ্যের ঈদবাজার চাঙা হবে। থান কাপড় বা কাটা কাপড়ের ব্যবসায়ীরা এবার লোকসানে রয়েছেন। আলিফ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ রহিম বলেন, ঈদের বেচাকেনার জন্য প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেছে। এখন বেচাকেনা খুবই খারাপ হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে টিকে থাকাই কষ্টকর হবে। কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে মফস্বলের অনেক দোকান এখান থেকে পাইকারি পণ্য নিয়ে যায় ঈদের আগে। কিন্তু করোনা মন্দার কারণে এবার তা বন্ধ বললেই চলে। এতে বন্ধ রয়েছে দোকানিদের কালেকশন বা বাকি টাকা আদায়। কোম্পানীগঞ্জ বাজার কমিটির সেক্রেটারি হাবিবুর রমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে যাতে গ্রাহকেরা কেনাকাটা করতে পারেন তার জন্য প্রতিটি দোকানকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক রাখার বিষয়টি সিরিয়াসলি মনিটরিং করছি আমরা।