রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। সরেজমিনে উপজেলার কোলকোন্দ শিঙ্গীমারীসহ অন্যান্য চরে ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত মাঠ জুড়ে বাদাম ক্ষেত। যেদিকে চোখ যায়, শুধু সবুজের সমারোহ। কৃষক-কৃষাণীরা বাদাম শুকানোর কাজে ব্যস্ত পার করছে। চর বিনবিনা বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন জানান, বাদামের আবাদ এবার খুব ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ও পরামর্শে বিনা-৪ জাতের বীজ নিয়ে রোপন করেছে। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ হবে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, আবাদ হয়েছে তাতে করে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মণ বাদাম পাওয়া যাবে। বর্তমানে বাদাম ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের চেয়ে অনেক লাভজনক বাদাম। তার দেখা দেখি প্রায় প্রচুর পরিমাণে কৃষক বাদাম চাষ করছে। চর বাগডোহরা গ্রামের আবু তৈয়ব জানান, কাকিনার হাট থেকে বীজ সংগ্রহ করে বাদাম রোপন করেছেন। এ ব্যাপারে কোলকোন্দ ইউনিয়নের উত্তর কোলকোন্দ গ্রামের আক্তারুজ্জামান মিঠু জানান, আমরা রংপুর থেকে ভালো বীজ সংগ্রহ করে এ অঞ্চলে বাদাম চাষিদের কাছে বিক্রি করে থাকি। এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার ভালো বাদাম পাবেন।