ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদে জি আর এর ৪৫০ টাকা সহায়তা আনতে গিয়ে আঙুল হারানো রিনা বেগমের(৩৬) পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার ৭ মে ২০২১ ইং দুপুর সোয়া ২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৪র্থ তলায় অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিনাকে দেখতে যান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (মুক্তিযোদ্ধা সন্তান)কে এম ইয়াসির আরাফাত। হাসপাতালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও ইউএনও আহত রিনার সাথে কথা বলেন ও শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন বেলাল, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা পোষ্টের জেলা প্রতিনিধি আজিজুল হক সঞ্ছয়,বিজয়নগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর জাহান, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী লিটন, সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল হক জিয়াদ, সাংবাদিক শফিকুর রহমান শাহীন, হরষপুর ইউপি মেম্বার আবুল কাশেম, হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে রিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয় ও সরকারি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করেন ইউএনও। এছাড়াও হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে চিকিৎসার জন্য আরও ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া তুলে দেওয়া হয় রিনার হাতে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখার পর জেলা প্রশাসক মহোদয় ঘটনাটি তদন্তের জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আহত রিনা বেগমের বক্তব্য শুনেছি। প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আমি এখন ঘটনাটি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যচ্ছি। তদন্তে যদি কারও অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও কে.এম.ইয়াসির আরাফাত বলেন, প্রাথমিক ভাবে খবর পেয়ে চেয়ারম্যানকে শোকজ করা হয়েছে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক সরেজমিনে তদন্তে করা হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ৬ মে ২০২১ ইং দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদে অসহায় ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা জি আর এর ৪৫০ টাকা আনতে যান উপজেলার হরষপুর ইউপির পাইকপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা রিনা(৩৬)। টাকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পর রিনাকে পেছন দিক থেকে কে বা কারা ধাক্কা দিলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দরজার ফাঁকে রিনা আঙ্গুল আটকে যাওয়ার পর হরষপুর গ্রামের চৌকিদার মো: দানা মিয়া সজোরে দরজা বন্ধ করে দেয়। এতে করে তার ডান হাতের একটি আঙ্গুল কাটা পড়ে ও অন্য একটি আঙ্গুল প্রায় কাটার অবস্থায় চলে যায়, এসময় রীনা সজোরে চিৎকার করে ও অন্যদের সহায়তায় চৌকিদার দরজা খুলতে বাধ্য হয়,ততক্ষণে আঙ্গুল কেটে মাটিতে পড়ে যায়।