গতকালের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর মেঘের গর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় মা মাছের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায় ভিড় জমিয়েছেন শত শত ডিম সংগ্রহকারী। ধারণা করা হচ্ছে মেঘের গর্জন আর বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল থাকলে দুই এক দিনের মধ্যে হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। সাধারণত চৈত্র মাসের শেষে কিংবা বৈশাখ মাসের শুরুতে মুষল ধারে বৃষ্টি, মেঘের গর্জন ও উজানের প্রবল স্রোত শুরু হলে এ নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, ও কার্প সহ নানা প্রজাতির মা মাছ ডিম দিয়ে থাকে । গত ২৯ এপ্রিল বজ্রসহ বৃষ্টিপাতে মা মাছ সামান্য নমুনা ডিম ছাড়লেও চলতি মে মাসের ১০ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে অমাবস্যা তিথি এবং ২৪ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে পূর্ণিমাতে মা মাছ ডিম ছাড়ার দুটি জো রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতে যেকোনো দিন মা মাছ পূর্ণ মাত্রার ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সরজমিনে হাটহাজারীস্থ গড়দুয়ারা এবং সত্তারঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর মেঘের হালকা গজর্নে মা মাছ ডিম ছাড়ার আশায় হালদার দিকে কড়া নজর রেখেছেন অনেক ডিম সংগ্রহকারী। কথা হলে ডিম আহোরণ করতে আসা সোলাইমান জানান, গত কয়েক দিন ধরে ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায় হালদা পাড়ে অবস্থান করছি। গত বছর মে মাসের তৃতীয়ার্ধে মা মাছ ডিম ছাড়লেও এ বছর মে মাসের মাঝাঝি মা মাছ ডিম ছাড়বে বলে তিনি আশা করেন। এদিকে হাটহাজারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি জানান, হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম এখন। গতকালের বৃষ্টি আর মেঘের গর্জনে হালাদায় মা মাছের আনা গোনা বেড়ে গিয়েছে। যদি বৃষ্টির সাথে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয় তাহলে হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়বে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন জানান, হালদার জীব বৈচিত্র রক্ষায় উপজেলা প্রশানের অব্যাহত অভিযানে হালদায় মা মাছ শিকার ও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মা মাছ অবাধ বিচরণ করতে পারছে। এতে বেশী পরিমাণ ডিম সংগ্রহের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।