চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় ফেনসিডিল আটক করার সময় পুলিশের ৪ পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর কবরস্থানের পাশে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- দর্শনা থানার এসআই মাহমুদুল হক, এএসআই শাহিন, এএসআই মামুন ও এএসআই ইদ্রিস আলী। তাদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় তিনজন মাদক চোরাকারবারি আটক করে ২৬ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এরা হলেন- দর্শনা পৌরসভার সীমান্তবর্তী ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আসকার আলীর ছেলে হাসেম আলী(৫২) ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম(৩২) এবং একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হাকিম(২৮)। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মাদক ও পুলিশের ওপর হামলায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জােিনেছ দর্শনা থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানায়, শনিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা থানার এসআই মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা দর্শনার সীমান্তবর্তী ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে মাদক চোরাকারবারি বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় ১০৮ ফেনসিডিলসহ ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আসকার আলীর ছেলে হাসেম আলী(৫২)কে আটক করে পুলিশ। এসময় খায়রুল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারিদিক ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। এসময় ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আসকার আলীর ছেলে হাসেম আলী ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম এবং একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হাকিমকে ২৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব রহমান সকালের সময়কে জানায়, দর্শনা পৌরসভার সীমান্তবর্তী ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযানে এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হাসেম আলীকে ফেনসিডিলসহ আটক করা হলে পুলিশের ওপর হামলা করে চোরাকারবারিরা। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে তিন জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময় চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়। এঘটনায় অন্যান্য আসামী ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।