নওগাঁর সান্তাহার ঢাকা রোড নামক স্থান থেকে শুরু নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক। সান্তাহার ঢাকা রোড থেকে রাণীনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত ৮কিমি রাস্তা অনেক আগে থেকে সচল রয়েছে। নতুন করে রেলের পাশ দিয়ে রাণীনগর রেলষ্টেশন থেকে আত্রাই হয়ে নাটোর জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত সাড়ে ১৯কিমি রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অনেক জটিলতা কেটে ২০১৮সালের শেষের দিকে রাণীনগর রেলষ্টেশন থেকে আত্রাই হয়ে নাটোর জেলার সীমান্ত পর্যন্ত সাড়ে ১৯কিমি রাস্তার নির্মাণ কাজ নতুন করে শুরু করা হয়। এই সড়কটি নাটোর বাইপাস সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা অভিমুখে চলে গেছে। পুরো সড়কে ৫টি সেতু ও ১০টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বর্তমান সড়কের উপরিভাগের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২৯কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পকে ৪টি ফেজে ভাগ করে ৪টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের কাজ করছেন। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প শেষ করার নির্ধারিত সময় থাকলেও নানা সমস্যার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরো প্রকল্প দেখভাল ও বাস্তবায়ন করছে নওগাঁ সড়ক বিভাগ। স্থানীয় বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন, মন্টু ইসলামসহ অনেকেই বলেন খুব দ্রুত গতিতেই মহাসড়কের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এই মহাসড়ক চালু হলে নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ অন্যান্য জেলার মানুষদের ঢাকায় যেতে প্রায় ৩ঘন্টা সময় কম লাগবে। এছাড়াও এই মহাসড়কটি চালু হলে সড়কের আশেপাশের মানুষদের জীবনমান পাল্টে যাবে। বদলে যাবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সড়কের পাশ দিয়ে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এতে করে হাজার হাজার মানুষের নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সাজিদ বলেন চলতি বছরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। সরকারের দেওয়া নিদের্শনা মোতাবেক প্রকল্পের আর সময় বাড়ানো হবে না। কাজের সিডিউল মোতাবেক সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোর ভাবে হুশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময়ই কাজের তদারকি করছেন। এতে আশা করা হচ্ছে মহাসড়কের কাজ মানসম্মত ভাবেই করা হচ্ছে। কোথাও কোন অনিয়মের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। আমরা আশা করছি নতুন করে আর কোন জটিলতার সৃষ্টি না হলে আগামী বছরের শুরুর দিকে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া সম্ভব হবে।