চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের কাছে ২০ হাজারের বেশি করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে নতুন করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন। নতুন আইসোলেশন হাসপাতালের শয্যাগুলো পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
ব্রিফিংকালে করোনা মোকাবিলায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, ডিএনসিসি মার্কেট ও দিয়া বাড়ির ৪টি ফ্লোরে নতুন আরও সাড়ে চার হাজার করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই করোনা আইসোলেশন হাসপাতালগুলো উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
করোনা আইসোলেশন বেডের সংখ্যা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে আরও নতুন সাড়ে চার হাজার করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো স্বাস্থ্যখাতের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২০০০ বেড, ডিএনসিসি মার্কেটে ১৩০০ ও উত্তরার দিয়া বাড়িতে ১২০০ উন্নত নতুন বেড এখন প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো উদ্বোধন করে উন্মুক্ত করা যাবে। এগুলোর পাশাপাশি দেশের রাজধানীসহ জেলা-উপজেলায় আরও ৬০১টি প্রতিষ্ঠান করোনা আইসোলেশনে প্রস্তুত রয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা মোকাবিলায় দেশে এখন ২০ হাজারেরও বেশি করোনা আইসোলেশন বেড প্রস্তুত হয়ে গেছে। এর থেকেও বেশি প্রয়োজন হলে তারও ব্যবস্থা সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে।
করোনায় দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে সঠিক নিয়মে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু শিল্প কল-কারখানা খুলে দেবার পক্ষে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার কারণে দেশের কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে অনাহারে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে কিছু শিল্প কল-কারখানা খুলে দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহুদেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সামনে আমরাও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবো।
করোনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পর্যাপ্ত আইসোলেশন বেড, আইসিইউ সেন্টার, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বৃদ্ধিসহ নতুন করে আরও ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এদের পাশাপাশি, বেশ কিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্টও আপাতত আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইপি/প্রিন্স