বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

দীর্ঘ কর্মঘণ্টা মৃত্যু ডেকে আনছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১

দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা বছরে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু ডেকে আনছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারী এ প্রবণতা আরো তীব্র করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে দীর্ঘ কর্মঘণ্টার সঙ্গে যুক্ত স্ট্রোক ও হূদরোগে ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর রয়টার্স।
দীর্ঘ কর্মঘণ্টার সঙ্গে যুক্ত মৃত্যু নিয়ে প্রথম এ বৈশ্বিক গবেষণা এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালে এ সম্পর্কিত মৃত্যু ২০০০ সালের তুলনায় অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ডব্লিউএইচওর পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মারিয়া নীরা বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। ডব্লিওএইচও এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যৌথ এ গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের ৭২ শতাংশই ছিলেন পুরুষ ও মধ্যবয়সী কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী। এর প্রভাবে মৃত্যুর ঘটনাগুলো প্রায়ই দীর্ঘদিন পরে ঘটেছিল। কিছুু ক্ষেত্রে সেটা কয়েক দশক পরে। গবেষণাটিতে আরো দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করা লোকজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর মধ্যে চীন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টার চেয়ে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করা স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ এবং হূদরোগের ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে তোলে।
২০০০ থেকে ২০১৬ সময়কালে পরিচালিত এ গবেষণায় ১৯৪টি দেশের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কভিড-১৯ মহামারী অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা বলেছেন, দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করা (রিমোর্ট ওয়ার্কিং) বৃদ্ধি এবং কভিড সম্পর্কিত জরুরি পরিস্থিতির ফলে বিশ্বজুড়ে দীর্ঘ কর্মঘণ্টার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com