টানা আট কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে কিছুটা দরপতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৭শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। আগের কয়েক কার্যদিবসের মতো এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু লেনদেনের সময় পাঁচ মিনিট না গড়াতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত থাকে। অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা কিছুটা কমে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ডিএসইতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৫টির এবং ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ১ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ব্যাংকের ৭২ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সাইফ পাওয়ার, ন্যাশনাল ফিড, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, রবি, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৮টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।