গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে আপন বড় ভাই মতিয়ার রহমান কর্তৃক মানসিক ভারসাম্যহীন মোস্তাফিজার রহমানের জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ায় সংবাদ সন্মেলন করেছে সহায় সম্বলহীন মানবেতর জীবন যাপনকারী মোস্তাফিজার রহমানের পরিবার। জবরদস্তি করে জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইয়ের নামে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানসিক রোগী মোস্তাফিজারের স্ত্রী মুরশিদা বেগম। ১৯ মে বুধবার বিকেলে সাদুল্লাপুর হাইস্কুল মাঠে মুরশিদা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী মোস্তাফিজার রহমান ১৫ বছর আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। সংসারের খরচ জোগাতে আমি ও আমার সন্তান নিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস চাকুরী করি। নিজেদের সংসার চালানোর পর উচ্ছিষ্ট টাকা দিয়ে স্বামীর চিকিৎসা করছি। আমার স্বামী শারিরীক ভাবে বেশি অসুস্থ হওয়ায় সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম রয়েছে। এই সুযোগে আমার স্বামীর বড় ভাই মতিয়ার রহমান চলতি সালের ২৮ জানুয়ারি সকালে চিকিৎসার কথা বলে সাদুল্লাপুর রেজিষ্ট্রী অফিসে নিয়ে গিয়ে ভায়ের স্ত্রী রওশন আরার নামে ৭শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রী করে নেয়। জমির মূল্য ১০ লাখ টাকা উল্লেখ করে। বিষয়টি তারা গোপন রাখলে স্থানীয় মানুষদের মাধ্যমে জানতে পেয়ে আমি ও আমার সন্তান মহব্বত কে নিয়ে রেজিষ্ট্রী অফিসে গিয়ে বিষয়টি সত্যতা পাই। পরে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ রাজনৈতিক দলের নের্তৃবৃন্দদের সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দের অবহিত করি। আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার তীব্র নিন্দা সহ সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবী করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজার রহমান এর বড় ভায়ের ছেলে রবিউল ইসলাম, রহিদুল ইসলাম, কৃষিবিদ সামিউর রহমান, সাবেক ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ খান, সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শাহ মোহাম্মদ ফজলুল হক রানা,সাদুল্লাপুর থানার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিপন, সাদুল্লাপুর আওয়ামী যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা তাতিলীগ ঢাকার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হযরত, সাদুল্লাপুর যুবলীগ সহ- সভাপতি সোহেল রানা, সাদুল্লাপুর উপজেলার যুবলীগ সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক আকন্দ, দামোদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ যুগ্ন আহবায়ক আহাদুন্নবী বাবু, সাদুল্লাপুর উপজেলার সেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক এশরাফুল কবির আরিফ প্রমুখ।