বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

২০২১-২০২২ অর্থ বছরে জাতীয় করণের ঘোষণা চান ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকরা

নীলফামারী প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

দেশের সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয় করণসহ সাতদফা দাবী বাস্তবায়নে মানববন্ধন হয়েছে নীলফামারীতে। রবিবার সকাল এগারটা থেকে দুপুর বারটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কর্মসুচীর আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি নীলফামারী জেলা শাখা। শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বরাবর স্মারক লিপি প্রেরণ করেন সংগঠনের নেতারা। এতে জেলা নেতারা ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন কর্মসুচীতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসা ভুইয়া, জেলা সাধারণ সম্পাদক লেবু মিয়া, সহ-সভাপতি জনাব আলী ও জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক আব্দুল আজিজ, জেলা কমিটির দফতর সম্পাদক রবিউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক এনামুল হক, জেলা কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, জলঢাকা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি প্রমুখ। বক্তারা উল্লেখ করেন ১৯৭৮ সালে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের শর্ত পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন লাভ করে ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো। ১৯৯৮সালে রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করলেও ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো জাতীয়করণের আওতায় আসেনি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষদের মত আমরাও একই সময়ের পাঠদান, সরকারী নানা কাজে অংশগ্রহণ করে থাকি। অথচ আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের মানবেতন জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি আবু মুসা ভুইয়া জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে রাজধানী ঢাকায় ধর্মঘট ও অনশন কর্মসুচী চলাকালে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব অনশন কর্মসুচীতে এসে দাবী বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা কর্মসুচী প্রত্যাহার করে নেই। কিন্তু আজো আলোরও মুখ দেখেনি সেই প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত মাদরাসার শিক্ষকরা ৩৭বছর ধরে বঞ্চিত। দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতির এই সময়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনিত অনুরোধ জানাবো যাতে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় করণ করে দেয়া হয়। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাত দফা দাবী বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে জাতীয় করণের ঘোষণা দেয়া, কোড বিহীন মাদরাসাগুলো কোড নম্বরে অর্ন্তভুক্ত করা, ইবতেদায়ী মাদরাসা নীতিমালা ২০১৮ সংশোধণ করে আলিম পাশ একজনের পরিবর্তে এইচএসসি পাশ সমমান অর্ন্তভুক্ত করণ, অফিস সহায়ক নিয়োগ, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, আসবাবপত্রসহ ভবণ নির্মাণ এবং স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com