কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা কাশিপুর ইউনিয়নের কানাই চন্দ্র বর্মন(৮০)। দীর্ঘ এক বছর থেকে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবিক জীবন-যাপন করছন। উপজেলার গংগারহাট বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন ভাড়ালিটারি গ্রামে ৫ শতাংশ ভিটে মাটিতে নিজ স্ত্রী এক মেয়ে ও চার ছেলেকে গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহৃত বালতি, হাড়ি পাতিল মেরামতের কাজ করে কোনভাবেই জীবন সংসার চালাত কানাই চন্দ্র বর্মন। মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর ছেলেরা যে যার মতো সংসার পেতেছে। ঠিকমতো খবর নেয় না বাবা-মায়ের। পঙ্গুত্ব বরণ করা হয় উপার্জন বন্ধ হয়ে যায় কানাই চন্দ্র বর্মনের। তাই নিজ স্বামীর পেটে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাতে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয় তার স্ত্রীকে। চলাফেরা করতে না পারায় সারাদিন একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে পড়ে থাকতে থাকতে পিঠে ঘা হয়ে গেছে কানাই চন্দ্র বর্মনের। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার অনুরোধ করেও একটি হুইল চেয়ারের জোটেনি পঙ্গু কানাই চন্দ্র বর্মন এর কপালে। তাইতো পৃথিবীটাকে নতুন করে দেখতে সরকারসহ সমাজের দানশীল, ও হৃদয়বানদের কাছে একটি হুইল চেয়ার পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন প্যারালাইসিসে পঙ্গুত্ব বরণ করা কানাই চন্দ্র বর্মন।