গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট মহাসড়কে অধিগ্রহন কৃত জমির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের দাবীতে জমির মালিকগণ মানববন্ধন করেন। শুক্রবার (২৮মে) সকাল ১১.০০ টায় সাদুল্লাপুর ধাপেরহাটের জাতীয় মহাসড়কের আখ সেন্টারের সামনে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। সরেজমিনে জানাযায়-৮এর(৩)(ক) নং উপধারা মোতাবেক সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের পালানপাড়া মৌজা এলাকার বাণিজ্যিক জমির মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি একর ২৩৯৪৫৪৬ টাকা আর প্রতি শতাংশ জমির মূল্য প্রায় ২৩৯৪৫ টাকা এবং বাড়ির জমির মূল্য একর প্রতি ২৭৩১৪২৯ টাকা আর প্রতি শতাংশ জমির মূল্য ২৭৩১৪ টাকা। অপর দিকে একই ইউনিয়নের হাসানপাড়া মৌজার বাণিজ্যিক জমির মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি একর ২০,০০,০০,০০০ টাকা আর প্রতি শতাংশ জমির মূল্য প্রায় ২০,০০,০০০ টাকা এবং বাড়ির জমির মূল্য একর প্রতি ২১,৫৭,১৩৭টাকা আর প্রতি শতাংশ জমির মূল্য ২১,৫৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, অর্থাৎ পালানপাড়া মৌজার প্রতি শতাংশ জমির তিনগুণ ধরে মূল্য ৭১০০০টাকা আর হাসানপাড়া মৌজার প্রতি শতাংশ জমির মূল্য তিনগুণ ধরে ৬০,০০০০০টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। যা ৮ধারার নোটিশ মোতাবেক হাসানপাড়া মৌজার জমির মূল্যের চেয়ে পালানপাড়া মৌজার জমির মূল্য অস্বাভাবিক কম ধরা হয়েছে। অথচ সরকারি ভাবে জমির বিক্রির মূল্য হাসানপাড়া মৌজার জমির চেয়ে পালানপাড়া মৌজার জমির মূল্য দ্বিগুণেরও বেশি। তাই পালানপাড়া মৌজার জমির অস্বাভাবিক মূল্য স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে পালানপাড়াবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধাপেরহাট ইউনিয়ন শাখার সাধারণ স¤পাদক শফিকুল কবির মিন্টু, সাংগঠনিক স¤পাদক লাবলু প্রামাণিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শরিফুল ইসলাম প্রামানিক, জমির মালিক তৌহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মিজানুর রহমান প্রামাণিক, অজিত সাহা, স্বপন সাহা, সারোয়ার, নজরুল ইসলাম, আশিকুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন- কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর ও স্থানীয় দালাল চক্র অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য জমির প্রকৃত মূল্য জমি মালিকদের না দিয়ে মনগড়া মূল্য নির্ধারণ করে অবকাঠামতে অধিক টাকা প্রদান করেছে। তারা জমি মালিকদেরকে বঞ্চিত করেছে। এমন অসামঞ্জস্য পূর্ন মূল্য মেনে নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।তারা এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।