এ যেন মৃত্যুর সাথে বসবাস সামান্য বাতাস হলেই বিদ্যুতের তাঁর এসে পড়ে দোকানের উপর। দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যুতের তাঁরের নিচে বসবাস করছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাখরগঞ্জ বাজারের ১৬টি দোকান মালিক। ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যুৎ অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবুল খায়েরসহ ভুক্তভোগীরা। বাখরগঞ্জ বাজারের দোকান মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবুল খায়ের জানান, জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছি, আজগে আমার দোকানের উপর থেকে তার সরাতে উৎকোচ চায় ইঞ্জিনিয়ার গৌতম। মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরসহ স্থানীয় দোকানদাররা আরো জানান সামন্য বাতাস হলে বিদ্যুতের তাঁর ভবনের ছাদে এসে পড়ে। এতে প্রায়ই ফায়ারিং হয়। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষটি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত আবেদন দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর ঘুরেও কোন প্রতিকার পাননি। অফিসের ইঞ্জিনিয়ার গৌতম এ লাইন সরানোর জন্য তার কাছে উৎকোচ দাবি করে বসে আছেন। এ অর্থ দিতে না পারায় হাইভোল্টেজের এ ঝুঁকিপুর্নলাইনটি অন্যত্র সরাতে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের কেন এত গাফিলতি সে প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছে না এসব দোকান মালিকরা। এ বিষয়ে চিতলমারী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. আব্দুর রহমান জানান, লাইন সরানো একটু সময়ের ব্যাপার। আবেদনকারী দীর্ঘদিন যোগাযোগ না করার কারণে কাজটি করতে বিলম্ব হচ্ছে। অপর দিকে বিদ্যুৎ অফিসের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার গৌতম কুমার সরকারের সাথে কথা হলে তিনি ফোনে জানান, এখন আমি বাইরে কাজে ব্যস্ত আছি এ বিষয়ে সাক্ষাতে দেখা করে জানাব।