রাজধানী ঢাকায় তিন ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া, ময়মনসিংহে ৪৮ মিলিমিটার, নেত্রকোণায় ৩৬, টাঙ্গাইলে ৩৩, সীতাকু-তে ২৪, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামে ২১ মিলিমিটার, সিলেটে ১৭, ভোলায় ১৬, নিকলীতে ১৩, মাইজদীতে ছয়, শ্রীমঙ্গলে দুই এবং কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও কুমারখালীতে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
গতকাল সকালে কারওয়ান বাজার, গ্রিনরোড, পান্থপথ, তেজতুরী বাজার, রাজাবাজার, মতিঝিল, মহাখালী ও লালবাগ এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় অফিসগামী মানুষ বিপাকে পড়েন। এর মধ্যে তেজতুরী বাজারে কোমর পানি জমে যায়। বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা ও ভ্যানে অনেককে অফিসের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা গেছে।
রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল সোমবার গভীর রাতে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেক আকাশ ছেয়ে আছে মেঘে। দফায় দফায় চলছে মুষলধারে বৃষ্টি।
ঢাকায় সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সময় ময়মনসিংহে ৪৮ মিলিমিটার, নেত্রকোণায় ৩৬ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির খবর এসেছে আরও অন্তত ১৫টি জেলা থেকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নেত্রকোণায় হয়েছে ৯৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, “পুবালী ও পশ্চিমা লঘুচাপের মিলনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে দমকা বাতাসসহ বজ্রবৃষ্টি চলছে। বাংলাদেশে বর্ষাও সমাগত।”
তিনি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। ৪ বা ৫ জুনে উপকূলে পৌঁছলে ধীরে ধীরে তা জুন মাসের প্রথমার্ধে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। সে সময় বৃষ্টির প্রবণতাও বাড়বে।
গত শনিবারও দেশের কয়েকটি স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছিল। তার দুদিনের মাথায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় গরমের তীব্রতা কেটে গেছে।
বর্ষা আসার আগেই উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা ধীরে ধীরে বাগবে বলে জানালেন আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন।
“ঢাকায় মঙ্গলবারও বৃষ্টি চলবে। কয়েকদিন পরে বৃষ্টি কমে আসবে এখানে। তবে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে। বর্ষা যেহেতু চার-পাঁচ দিন পরে টেকনাফে পৌঁছবে, সেখানেও বৃষ্টি বাড়বে।”
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এর আগে ২০১৭ সালের অগাস্টে এক দিনে ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড রয়েছে ঢাকায়। সে সময় তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ডুবে ঢাকার অনেক সড়ক। অল্প সময়ে এত বৃষ্টিপাত রাজধানীবাসী দেখেছিল ১০ বছর পর।