শেরপুর জেলায় এবার (২ সপ্তাহ ধরে) পক্ষকাল ব্যাপী ভিটামিন ‘এথ প্লাস ক্যাপসুল খাবে প্রায় ২ লক্ষা?ধিক শিশু। করোনা ভাইরাস রোধকল্পে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ‘ভিটামিন এ খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমানথ এই স্লোগানকে ধারণ ক?রে বুধবার ২ জুন সকাল ১১ টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের হল রুমে জাতীয় ভিটামিন ‘এথ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে ওই কর্মশালায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আক্রাম হোসেনের সঞ্চালনায় ও সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুর রউফের সভাপতিত্বে অন্যানোদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত প্রমুখ। কর্মশালায় সাংবাদিকদের জানানো হয়, এ কর্মসূচির আওতায় এবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ১শ ১৭জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এথ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৮১ হাজার ৯শ ৮৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এথ ক্যাপসুলসহ মোট ২লক্ষ ৫ হাজার ১শ ১জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১ হাজার ৩৪৬টি টিকাদান কেন্দ্রের ২ হাজার ৬৯২ জন সেচ্ছাসেবকের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ভিটামিন ‘এথ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত। এটা শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এসময় সিভিল সার্জন ডা.একে এম আনোয়ারুর রউফ বলেন, ভিটামিন ‘এথ নিয়ে জনসাধারণ যেন প্রচারিত গুজবে কান না দেয়। সেইসঙ্গে সব অভিভাবককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এথ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নির্ধারিত বয়সের মধ্যে সব শিশুকে কাছের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসে।সিভিল সার্জন আরও জানান, টিকা খাওয়ানোর পূর্বে অভিভাবক ও শিশুর করোনার স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হবে। সেইসাথে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও স্ক্রিনিং করা হবে।কর্মশালায় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।