শ্রীলঙ্কাতে ৪ মে থেকে লকডাউন প্রত্যাহার ও পর্যায়ক্রমে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রেক্ষাপটে ১১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী গত ১৫ এপ্রিল শ্রীলঙ্কাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৮ জন। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন গুন বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬৩ জনে। এমন বাস্তবতায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার মোট জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ এবং তারা প্রতিদিন এক হাজারের বেশি টেস্ট করে থাকে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সে দেশে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। মার্চের ২০ তারিখে শুরু হওয়া লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৭ এপ্রিল। তবে প্রথম দফায় তা ৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এবার দ্বিতীয় দফায় আবারও সেখানে লকডাউন বাড়ানো হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়, আগামী সোমবার দূতাবাস খোলার প্রস্তুতি ছিল তবে লকডাউন বাড়ানোর কারণে এটি সম্ভব হবে না।
এদিকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি শিথিল করে আনা হলে মে মাসে অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আগামী ১৪ দিন কঠিন সময়। তাই ভীষণ সতর্কতা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পার করতে হবে। যদি সেটা না হয় তাহলে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু এবং রোগী দুটোই দেখা যাবে মে মাসে।
এমআর