এলজিইডির আওতায় নওগাঁর আদমদীঘি হয়ে আবাদপুকুর যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়কটির বর্তমান বেহাল দশা। বছরের পর বছর সংস্কার না করায় সড়কটির পুরো অংশ জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে রাতের আঁধারে চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে রাণীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুর থেকে পার্শ্ববর্তি বগুড়া জেলার আদমদীঘি হয়ে নওগাঁ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের এটিই একমাত্র প্রধান সড়ক। আবাদপুকুর থেকে আদমদীঘি যাওয়ার এই ৮কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশই ছিলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। কিন্তু আদমদীঘি উপজেলার সীমানা কুসম্বী বাজার পর্যন্ত সড়কটি পুনরায় পুর্ননির্মাণ করায় তা এখন আর ঝুঁকিপূর্ন নেই কিন্তু আদমদীঘি উপজেলার শেষ সীমানার কুসম্বী বাজারের পর থেকে শুরু হওয়া রাণীনগর উপজেলার অংশের পুরো সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সড়কটির কোন পুর্ননির্মাণ/সংস্কার না করায় কুসম্বী বাজারের পর থেকে পারইল বাজার, বগারবাড়ি বাজার, আবাদপুকুর এলাকার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। দিনের বেলায় কোন ভাবে চলাচল করা গেলেও রাতের বেলায় ঘটছে মরনঘাতি দুর্ঘটনা। পথচারী আনছার আলী, নেহাল আহমেদসহ অনেকেই বলেন দীর্ঘদিন যাবত আবাদপুকুর-রাণীনগর সড়কটির পুর্ননির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষ ও ছোট-বড় যানবাহন নওগাঁ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের জন্য এই সড়কটিই ব্যবহার করে আসছেন। এছাড়াও আবাদপুকুর হাট জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধানের হাট হওয়ার কারণে এই সড়কটির গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু বর্তমানে এই সড়কের মাঝে মাঝে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্তের কারণে সহজেই চলাচল এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে দাড়িয়েছে। দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কটি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে পুর্ননির্মাণ করা প্রয়োজন। উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো: শহীদুল হক বলেন এই সড়কটি পুর্ননির্মাণ/সংস্কার কাজের চাহিদা একটি প্রকল্পের আওতায় এনে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিলেই সড়কটির প্রসস্থকরন ও পুর্ননির্মাণ/সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।