জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের পর পর তিনবারের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নাজমুল হক বাবু আগামী ইউপি নির্বাচনে তাকেই পুনরায় দেখতে চায় মেষ্টা ইউনিয়নবাসী। জানা যায়, মেষ্টা ইউনিয়নে এক সময় সাধারণ মানুষের প্রিয় মুখ ছিল মরহুম খালেক মাস্টার। তারই পুত্র আলহাজ¦ নাজমুল হক বাবু। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৫ইং সালে এলএলবি সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবন থেকে পরিবারের সূত্র ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নাজমুল হক বাবু মেষ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছে। দশ ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে নাজমুল হক বাবু নবম। চেয়ারম্যান হিসেবে নাজমুল হক বাবু প্রথম দায়িত্ব নেন ১৯৯৮ইং সালে। ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১১ইং সালে পুনরায় মেষ্টা ইউনিয়নবাসীর ভালোবাসায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এবং ২০১৮ইং সালে আদালতের রায়ে আবার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন। সেই সাথে হাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ বারের নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তিনি। গড়েছেন হাফেজিয়া মাদ্রাসা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, কবরস্থান কমিটি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রতিবারই তিনি চেষ্টা করেছেন অবহেলিত মেষ্টা ইউনিয়নকে উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব করার। যার কারনে মেষ্টা ইউনিয়নবাসীর প্রিয় মুখ হিসেবেই রয়েছেন আলহাজ¦ নাজমুল হক বাবু। এ বিষয়ে আরংহাটি গ্রামের বৃদ্ধা ছালেহা বেগম(৮০) বলেন, বাবু আমাদের খোঁজ খবর নেয়। যে কোন সময় তার কাছে গেলে সে কখনো ফিরিয়ে দেয় না। আমাকে দিয়েছে একটি বয়ষ্ক ভাতা। আমি প্রতি মাসে সরকারের সেই ভাতার টাকা পাই। আমার সংসার চালানোর মতো কেউ নেই। এ টাকা দিয়েই আমার সংসার চলে। মেষ্টা গ্রামের বৃদ্ধ কামাল বলেন, আমি পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিন যাপন করছিলাম। চেয়ারম্যান বাবু আমাকে একটি রেশন কার্ড দিয়েছে। আমি ১০ টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি করে চাউল তুলতে পারি। বর্তমানে এই চাউল দিয়েই আমার সংসারে অনেকটা কষ্ট লাঘব হয়েছে। আমি তার জন্য দোয়া করি। সে যেন আবার চেয়ারম্যান হয়। আলহাজ¦ নাজমুল হক বাবু বর্তমানে ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধনে এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন। ইউনিয়নবাসীদের মাঝে জন্ম নিবন্ধনে আগ্রহ সৃষ্টি করতে শুন্য থেকে দশ দিনের মধ্যে যে সকল সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তাদের জন্ম নিবন্ধন করা হলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদেরকে দেওয়া হয় বিশেষ পুরষ্কার। এ বিষয়ে আলহাজ¦ নাজমুল হক বাবু বলেন, আমি আগামী নির্বাচনের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছি। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে নৌকা প্রতীক প্রদান করে তাহলে বিপুল ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো। আমি মানুষের ভালোবাসা চাই। আমি যদি পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি তবে মেষ্টা ইউনিয়নকে একটি ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। সেই সাথে আমি চাই সকলের দোয়া।