রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

বগুড়ায় শাহসুলতান হিমাগারে আলুর কোল্ড স্টোর ভাড়া কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

বগুড়া প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

বগুড়ার শিবগঞ্জের বলরামপুর শাহসুলতান হিমাগারে আলুর কোল্ড স্টোর ভাড়া (আলুর বস্তা ভাড়া) কমানো, নিম্নস্তরের কৃষকদের আলুর স্টোরভাড়া নায্যমূল্য নির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শিবগঞ্জের বলরামপুর শাহসুলতান-১ হিমাগারের সামনে আলু চাষী , ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়। কৃষক এরশাদুর রহমান, মো: ছানোয়ার হোসেন, আব্দুল মাজেদ ও কৃষক সাইদুর রহমানের নের্তৃতে শতশত কৃষক এ বিক্ষোভে অংশগ্রহন করেন। হিমাগার সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ হিমাগারে প্রায় ২ লক্ষ ৫০হাজার বস্তা আলু মজুদ রয়েছে। ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তায় আলু চাষীদের নিকট হতে ২৬০টাকা আর পার্টির (ব্যবসায়ী) নিকট হতে ২৭০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক এরশাদুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা খেঁটে খাওয়া মানুষ, আমারা মত শতশত কৃষক আমরা অনেক কষ্টে ফসল ফলাই এবং আমরা সেই আলু কোল্ড স্টোরে মজুদ রাখি।ভাড়া বেশি উল্লেখ করে তিনি আরো বরেন, আমার পার্শ্ববর্তী দুটি কোল্ড স্টোর কিচক আফাকু কোল্ড স্টোর ও সাদুরিয়া হিমাদ্রী প্রা: লি:হিমাগারে যেখানে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তায় ২২০টাকা থেকে ২৪০টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে অথচ শাহসুলতান হিমাগারে বস্তা প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় আলু ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন ও মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা অনেক কোল্ড স্টোরে আলু মজুদ রেখেছি। আশে পাশের আরো অনেক হিমাগার রয়েছে যেখানে স্টোর ভাড়া কম অথচ শাহসুলতান হিমাগারে আমাদের বস্তাপ্রতি ৪০টাকা ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে, ভাড়া কমানোর দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় শ্রমিক নেতা আবু ইউসুফ বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলাতে বেশ কয়েকটি হিমাগার রয়েছে। এখানকার ভাড়া বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি নায্যভাড়া নির্ধারণের জোর দাবি জানাচ্ছি। কিচক চান্ডারপাড়ার আলু চাষী আব্দুল বারিক অভিযোগ করে বলেন, আলু স্টোরে ঢোকানোর সময় স্টোর কর্তৃপক্ষ অঙ্গিকার করেছিল আলুচাষীদের নিকট হতে ২৪০টাকা প্রতিবস্তা ও ব্যবসায়ীদের নিকট হতে প্রতিবস্তা ভাড়া ধরা হবে ২৩০টাকা অথচ এখন সেই কথা মানা হচ্ছে না । আলু চাষীদের নিকট হতে প্রতিবস্তা ভাড়া ধরা হচ্ছে ২৭০টাকা আর ব্যবসায়ীদের নিকট হতে প্রতিবস্তা ভাড়া ধরা হচ্ছে ২৬০টাকা। তিনি আরো বলেন, আমাদের সাথে কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করেছে। শাহসুলতান হিমাগারের ম্যানেজার মো: শাহিন মিয়া বলেন, আমারা নির্ধারিত ৫০ কেজির বেশি আলু রাখায় একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমার পাশের কোল্ড স্টোর পুনটে ও মুসলিমগঞ্জে তারা ও ভাড়া নিচ্ছে ২৭০টাকা। তাদের তুলনায় আমরা ভাড়া বেশি নিচ্ছি না। সকল আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরভাড়া কমানোর দাবী জানিয়েছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com