কুড়িগ্রাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ মারুফা গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে বিধিবহির্ভূত চেম্বার প্রাকটিস, সিজারিয়ান সেকশান সহ ডিএন্ডসি ও হিস্ট্রেকটমি অপারেশন করা সহ যাবতীয় অনিয়ম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন, গত ৬ জুন প্রকাশিত হয়।এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মোডিকেল অফিসারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কুড়িগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের আহবায়ক খ.ম.আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, প্রাইভেট প্রাকটিসে সময় অতিবাহিত করার ফলে ব্যহত হচ্ছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কার্যক্রম। পাশাপাশি প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় সরকারের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারে নিজের ব্যক্তিস্বার্থের দেয়াল তুলে দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন ওই চিকিৎসক। এতে নড়েচড়ে বসে কুড়িগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এরই প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মীর রফিকুল ইসলাম শনিবার ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক, মোঃ মোদাব্বের হোসেনকে প্রধান এবং ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডাঃ মনজুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন। কুড়িগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মীর রফিকুল ইসলাম মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মারুফার অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা রোববার বিকেলে নিশ্চিত করেন।