রোগ হলে তো ওষুধ খেতে হয়। তবে রোগ ঠেকাতে কাজ দেয় ফল। এ সব ফল খুব সহজলভ্য। মৌসুমি ফল গুলো অসুখ থেকে বাঁচায়। স্বস্তিও দেয়। মহামারী করোনার এই সংকট কালে এরকমেরই কিছু ফলের গুনাগুন তুলে ধরতে এবং এসব ফলজ গাছ চাষাবাদে স্থানীয়দের উৎসাহিত করতে বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট আম, জাম, খেজুর, গাব, জাম্বুরা, জামরুল, কাউফল, কামরাঙ্গা, লেবু, লিচু, আতা, কাচাঁ তাল, কাঁচা গাব, কলা, শসা, পেপে, আনারস সহ নানা জাতের মৌসুমী ফল উৎসবের আযোজন করে। বৃহাস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল সারে ১১ এগারটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এসব মৌসুমী ফলের উৎসব চলে। সারাদেশের ন্যায় উপক’লীয় এ জনপদে রসালো ফলের মৌতাতে উতলা এখন প্রকৃতি। চারদিক এখন পাকা ফলের সৌরভে মাতোয়ারা। হাঁটবাজারে এখন মিষ্টি ফলের সুবাস। উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের দল নেতা অলি আহম্মেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস্রা মো: শহীদুর রহমান, বিষখালী পত্রিকার সম্পাদক আব্দুস সালাম সিদ্দিকী, বেতাগী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু, সিআইপি আরবির আঞ্চলিক সন্বয়কারী মো: মোতাহের হোসাইন, ইতালী বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এমডি রিয়াজ হোসেন, যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য অভিভাবক বিপ্লব কুমার হাওলাদার, বরগুনা জেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের প্রশিক্ষন বিভাগের প্রধান আব্দুর রহমান সজিব, উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মিঠুন দে ও উপজেলা এনসিটিএফ‘র সভাপতি তানজিলা জামান শেফা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেতাগী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আকন্দ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক স্বপন কুমার ঢালী সহ অন্যানরা। এ সময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে এসব ফলের গুনাগুন তুলে ধরে উল্লেখ করা হয় এখন বর্ষা কাল। কখনো প্রচন্ড রোদ। গরমে শরীর ঘেমে যায়। আবার কখেনো বৃস্টি। ঠান্ডা বাতাস। গরম আর ঠান্ডা মিলে নানা অসুখ- বিসুখ লেগেই থাকে। হাদীসে আছে, আল্লাহ পৃথিবীতে এমন কোন রোগ দেননি তার ওষুধ নেই। প্রকৃতিতেই রয়েছে সব রোগের দাওয়াই। মৌসুমি রোগের দাওয়াই রয়েছে মৌসুমী ফলেই। তাই করোনা ভাইরাস কিংবা ফ্লুর মতো রোগ-বালাই দুর করতে খাওযা জুরুরি হয়ে পড়েছে মৌসুমী এসব ফল।