বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কিডস ক্রিয়েশন টিভিতে চলছে শিশুদের নিয়ে কুইজ কম্পিটিশন ‘জিনিয়াস কিডস’ মার্কিন নতুন প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক আরো বাড়বে : নজরুল ইসলাম একাত্তরে আ’লীগ মানুষকে বন্দুকের মুখে রেখে পালিয়েছিল, চব্বিশেও তাই করেছে : মঈন খান ১৮,০০০ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় ঐক্য গড়তে বিএনপির সঙ্গে খেলাফত মজলিসের বৈঠক বিধবংসী আগুন তুরস্কের রিসোর্টে, নিহত কমপক্ষে ৬৬ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল, সংবিধানের বিপরীতে হাঁটছেন ট্রাম্প ওষুধ-রেস্তোরাঁ-মোবাইলে ভ্যাট বাড়ছে না ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস

আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প বিলুপ্তির পথে

আদমদীঘি প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

বগুড়ার আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প এখন বিলুপ্তীর পথে। গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরী আসবাবপত্র। অভাবের তারনায় ওরা দীর্ঘদিনের বাপ দাদার পেশা ছেড়ে আজ অনেকে অন্য পেশায় ছুটছে। কিছু হাতে গোনা বাঁশ শিল্প কারীগররা অভাব অনটনের মাঝে আজও বাপ দাদার পেশা ধরে আছে। পুরুষদের পাশাপাশি সংসারের কাজ শেষ করে নারী কারিগররাও জীবিকা নির্বাহের জন্য ছেলে মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে অতি কষ্টে কাজ করছে তারা। বর্তমান বাজারে পাষ্টিক পূণ্য ও আন্যান্য দ্রব্য মুলের সাথে পাল্লা দিতে না পারায় তাদের বাপ দাদার পেশায় মুখ থুবরে পড়েছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব বাঁশ শিল্পের সাথে আদমদীঘি উপজেলা সান্দিড়া, বড় আখিড়া ও উজ্জলতা গ্রামের ৪০টি পরিবারের নারী ও পুরুষ বাঁশ শিল্প কারিগরদের ভাগ্যে নেমে এসছে চরম দূদিন। তাদের পূর্ব পুরুষের এ পেশা আকড়ে ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে ও হিমছিম খাচ্ছে। উপজেলা সহ দেশের ঘরে ঘরে ছিল বাঁশের তৈরী সামগ্রীর কদর। কালের পরিবর্তের সাথে সাথে বিশেষ আর চোখে পড়ে না। অপ্রতুল ব্যবহার আর বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বাঁশ শিল্প আজ হুমকির মুখে। এসব বাঁশের তৈরী সামগ্রী বাচ্চাদের দোলনা, তালায়, র‌্যাখ, পাখা, ঝাড়–, টোপা, ডালী, কুলা, চালন সহ বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র গ্রামঞ্চলে বিস্তার ছিল। যে বাঁশ এক সময় ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পাওয়া যেত সেই বাঁশ বর্তমান বাজারে কিনতে হচ্ছে ৩শত থেকে ৪শত টাকায়। বাশের দাম যে পরিমানে বেড়েছে সেই পরিমান বাড়েনি এসব পূণ্যের দাম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ ঘর বাড়ী নির্মানে যে পরিমান বাঁশের প্রয়োজন সে পরিমান বাঁশের ঝাড় বৃদ্ধি হচ্ছে না। সান্দিড়া গ্রামের কারিগর রইদাস ও অপেন দাস জানায়, তাদের গ্রামে প্রায় ২৫ টি পরিবার এ কাজে নিয়োজিত আছে। অতি কষ্টে বাঁশ শিল্প টিকে রাখতে ধার দেনা ও বিভিন্ন সমিতি থেকে বেশি লাভ দিয়ে টাকা নিয়ে কোন রকম বাপ দাদার পেশা আকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। শনিবার আদমদীঘি উপজেলা সদরের হাটে উজ্জলতা গ্রাামের বাঁশের শিল্প কারিগর ও বিক্রেতা আব্দুস সামাদ ও বড় আখিড়া গ্রামের উজ্জল চন্দ্রের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগের মত বাঁশের তৈরী জিনিস আর মানুষ কিনে না। প্লাস্টিক পূর্ন হওয়াতে বাঁশের কদর কমে গেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com