কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী সিঙ্গাপুর প্রকল্পে চিংড়ি চাষীদের কাছ থেকে কর্মরত আনসার বাহিনী ও কোল পাওয়ারের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্তারা মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র জানায়, উপজেলার মাতারবাড়ীর দক্ষিণ প্রান্তে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ১৪১৪ একর ভূমিতে পুরোদমে চলছে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ। পাশাপশি উত্তর প্রান্ত থেকে অধিগ্রহণকৃত সিঙ্গাপুর প্রকল্পও বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। উক্ত প্রকল্পে নিয়োজিত আনসার বাহিনীর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি আনসার ক্যাম্পও। এ প্রকল্পে দায়িত্বরত আনসার বাহিনী ও কোলপাওয়ারের সিঙ্গাপুর প্রকল্পে কর্তব্যরত কতিপয় কর্তাদের ম্যানেজ করে প্রকল্পের বাঁধ কেটে পানি ডুকিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক সেখানে চিংড়ী চাষ করে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চিংড়ী চাষীরা জমিনের প্রকৃত মালিকদের সামান্য নামে মাত্র টাকা হাতে দিয়ে চিংড়ী চাষ করে যাচ্ছে। এতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে এসব সিন্ডিকেট সৃষ্টিকারী চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে শুধু চিংড়ী চাষে অর্থ দিতে হয় তা না লবণ মৌসুুমে একই অর্থ গুণতে হয় চাষিদের। জানাগেছে, সরকারী প্রকল্পের জায়গায় বাঁধ কেটে কোন ব্যক্তি চাষ বা অন্য কিছু করার এখতিয়ার নাই। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে চিংড়ি চাষিরা চাষ করে যাচ্ছে। এতে চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা আনসার সদস্যরা ও সংশ্লিষ্ট সিঙ্গাপুর প্রকল্পে দায়িত্বরতরা সরকারী কোষাগারে টাকা গুলি জমা দিচ্ছে নাকি নিজেদের পকেট ভারী করছে এমন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে জমির মালিক ও সচেতন মহলের মাঝে। এভাবে গত কয়েক বছর ধরে আনসার বাহিনী ও কোলপাওয়ারের কতিপয় কর্তারা প্রতি বৎসর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে। আর চিংড়ি ঘের মালিকরা টাকা না দিলে ঘেরের টংঘর ভেঙে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঘের মালিক। মাতারবাড়ী সিঙ্গাপুর প্রকল্পের দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার ইলিয়াছ বলেন, মুলত কোল পাওয়ারের দায়িত্বরত কয়েজন প্রকৌশলী সিঙ্গাপুর প্রকল্প তদারকি করেন। আমরা তাঁদের দিক নির্দেশনায় দায়িত্ব পালন করে থাকি। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সত্য না। সরকারী অধিগ্রহণকৃত জমিতে কোন ব্যক্তি মাছ চাষ করার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি নাই বলেও জানান।