মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নলডাঙ্গা থেকে নদীপথে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ টন আম যাচ্ছে ঢাকায়

মিজানুর রহমান নলডাঙ্গা (নাটোর) :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১

সল্প ব্যয় আর নিরাপদ যোগাযোগ হওয়ার কারনে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর বাজার হতে নৌপথে ঢাকায় যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। ট্রাক বা কার্ভাড ভ্যানে আম বহনের সময় বেশির ভাগ আম পচে নষ্ট হয়। তাই নৌকাই হচ্ছে জনপ্রিয় ও সহজ যোগাযোগের মাধ্যেম। এখান থেকে প্রায় প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ টন আম যাচ্ছে ঢাকায়। স্থানীয় আম ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রাক বা কুরিয়ারের চেয়ে নৌযোগে খরচ অনেক কম হয়। কুরিয়ার করতে খরচ হয় কেজি প্রতি ১৫ টাকা ও ট্রাকে কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা। আর নৌকায় খরচ পড়ে ২ টাকার মতো। এছাড়া একটি মাঝারি ট্রাকে ৩ হাজার ৭৫০ কেজি থেকে ৫ হাজার কেজি, বড় ট্রাকে ১০ হাজার কেজি আম পরিবহন করতে পারে। এতে ঠাসাঠাসি কওে আম পরিবহন করতে গিয়ে অনেক আম নষ্ট হয়ে যায়। অপরদিকে নৌকায় ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার কেজি আম পরিহন করতে পারে। সেই সাথে আম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ বিবেচনায় নৌকাই হচ্ছে আম পরিবহনের সহজ ও নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, নদীতে পানি আসার পর গত দুই সপ্তাহ যাবৎ নৌকা চালু হওয়ার পর এপর্যন্ত ৪০০ থেকে ৪৫০ মেট্রিক টন আম ঢাকা গেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমান নৌকা ব্যবস্থা না থাকায় কোন কোন সময় পিকআপ গাড়ি কিংবা ট্রাকে কওে আম পরিবহন করা হচ্ছে স্থানীয় আম ব্যবসায়ী আবু-বক্কর সায়েম জানান, এ পর্যন্ত তিনি ১ হাজার মন আম ট্রাকে আর সমপরিমান আম নৌকায় করে পাঠিয়েছেন ঢাকায়। এতে নৌকার খরচ ট্রাকের চেয়ে আনুপাতিক ভাবে অনেক কম। এছাড়া ট্রাকে আম পাঠালে আঘাতজনিত কারনে অনেক আম নষ্ট হয়। আবার বিভিন্ন ধরনের টোল ও চাঁদা বাবদ বাড়তি ব্যয় যোগ হয়। একই কথা জানালেন ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নৌকাতে আম পরিবহনে খরচ ও ঝুঁকি দুটোই কম। ট্রাকে আম পাঠানোর সময় আমের ক্যারেট প্রায় ভেঙ্গে যায় আবার ট্রাকে পূর্নাঙ্গ আম ভর্তি না হলেও পূর্নাঙ্গ ট্রাক ভাড়া দিতে হয়। এতে কওে ট্রাকে ব্যয় অনেক বেশি হয়। তাই তারা নৌকাতে আম পাঠানো স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন এবং খরচও তুলনামুলক তাদের কম হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আম শেষ হওয়ার পর তারা কাঁঠাল, কলা ও বেল নিয়ে যাবেন নৌপথে। নৌকা মালিক দুলাল হোসেন জানান, সপ্তাহে দুইদিন দুইটি করে মোট চারটি নৌকা ব্রহ্মপুর থেকে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে যায়। প্রতি নৌকা ৬৫০ থেকে ৭৫০ মন পর্যন্ত আম পরিবহন করতে পারেন এবং একটি নৌকা ব্রহ্মপুর থেকে নারায়নগঞ্জ যেতে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘন্টা। ব্রক্ষ্মপুর ইউনিয়ন পরিষ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আগে এই নদীতে বারো মাস পানি থাকতো। অনেক বড় বড় মাল বোঝাই নৌকা চলাচল করতো। কিন্তু এখন শুধু বর্ষাকালে কিছু নৌকা চলাফেরা করে। বর্তমানে স্থানীয় আম ব্যবসায়ীদের নদীপথে সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, খরচ ও ঝুঁকি কম হওয়ায় এলাকায় অনেক নতুন উদ্যোগক্তা সৃষ্টি হয়েছে। নদীতে পানি থাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ফল ও শস্য পরিবহন হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকার যদি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন করে তাহলে নদীতে বারো মাস পানি থাকবে এবং নদী ফিরে পাবে নতুন যৌবন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ফিরে পাবেন তাদের সেই সুযোগ সুবিধা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com