উজানের ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আবারো তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলসহ তীরবর্তী এলাকার প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। জানা যায়, ভারী বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত রবিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিপদ সীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার তিস্তার বেষ্টিত প্রায় ১৫টি চরের ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নে বিনবিনা এলাকায় স্বেচ্ছা শ্রমের বাঁধটি আবারও ভেঙে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২.৬০ সে.মি.) ১৮ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মটুকপুর, বিনবিনা এলাকার ১২’শ ও লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইচলী, এলাকার ৬’শ এবং গজঘন্টা ইউনিয়নের ছালাপাক, জয়দেবসহ নি¤œ এলাকা ২’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ঊঠায় বিনবিনা এলাকায় কিছু লোক গবাদিপশু, বাড়ির আসবাবপত্রসহ রাস্তায় কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ইচলি এলাকায় তলিয়ে যাওয়া ধান কাটছেন কৃষক। পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু বলেন, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী বাঁধেরপাড়, বিনবিনা এলাকায় ১হাজার ২’শ পরিবার পানিবন্দি। লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তার ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলি, জয়রামওঝা ও বাগেরহাট এলাকায় ৬’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, দুপুরে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৮ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বিকেলে একটু কমতে শুরু করেছে।