গত কয়েক বছরে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে অনেকে। অগ্নিনির্বাপণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলার উপর ছিল ভরসা। এলাকাবাসির প্রাণের দাবি ছিল একটি ফারার স্টেশন নিমাণ করা হলে তাদের এ দুরবস্থা দূর হবে। অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলাবাসির দীর্ঘদিনের সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এলাকাবাসির সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এক সময়ের অবহেলিত জনপদ চিতলমারীতে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি। এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভাটসহ সার্বিক অবস্থার ছিল বেহাল দশা। কিন্তু বর্তমানে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এসব উন্নয়নের মধ্যে এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি ছিল একটি ফারার স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে অগ্নিনির্বপণের ব্যবস্থা করা। দেরিতে হলেও সেটি এখন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। উপজেলার শ্যামপাড়া মাঠে কারিগরি কলেজ, গোডাউন নির্মাণের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ৩ কোটি ৩১ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এ ফায়ার স্টেশনটি। ঢালী কন্ট্রাকশন লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ নিয়েছেন। বিগত দিনে এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে চিতলমারী সদরবাজার, খাসেরহাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আগুনে পুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অসংখ্য বসতঘর ভষ্মীভূত হয়েছে। এলাকায় ফায়ার স্টেশন না থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট সদর ও টুঙ্গিপাড়া, নাজিরপুর উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছেন। এব্যাপারে উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের বাবলু ম-ল জানান, বেশিরভাগ সময় পাশের জেলা-উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে এখানে আগুন নেভানোর জন্য ছুটে আসেন কিন্তু তারা আসার আগেই পুড়ে সবই ছাঁই হয়ে য়ায়। এ স্টেশনটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে। এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, আমাদের এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনের প্রচেষ্টায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে এ ফায়ার স্টেশনটি নির্মাণের মাধ্যমে এলাকাবাসির দীর্ঘ বছরের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালী কন্ট্রাকশন লিমিটেডের ডেপুটি প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. মশিউর রহমান জানান, করোনার কারণে নির্মাণ কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখানে চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণসহ ফায়ার স্টেশনের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে এটির কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে অভিমত দেন তিনি।