জামালপুরের মাদারগঞ্জে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে স্বামী। মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার হাটমাগুরা এলাকার মনিরুজ্জামান খাঁনের স্ত্রী মোছা.শারিহা আফরিন লৎফা নামে গত শুক্রবার (৩মার্চ) সকালে প্রায় ১৩লাখ টাকার নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাতের অভিযোগ করে বিজ্ঞ সহকারী জজ মাদারগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী। স্বামী মনিরুজ্জামান খাঁন দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার অনুমোদিত সেট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হিসেবে ঢাকায় কাস্টমস ক্লিয়ারিং এবং ফরওয়ার্ডিং এর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ব্যবসা পরিচালনা করাবস্থায় তিনি ঢাকায় বসবাস করে আসছে পরিবার সহ। করোনা কালীন ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান খাঁনের স্ত্রী মোছা.শারিহা আফরিন লুৎফা গ্রামের বাড়ি মাদারগঞ্জের হাটমাগুরা এলাকায় রেখে যান। এ সময় স্ত্রী শারিহা আফরিন লুৎফার সাথে পরিচয় হয় তার নানার বাড়ি এলাকার নৌ-বাহিনীর চাকরিরত জাহিদুল ইসলাম সবুজের। সেই পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক এক পর্যায়ে তারা গত শুক্রবার (৩মার্চ) স্ত্রী শারিহা আফরিন লুৎফা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে বিজ্ঞ সহকারী মাদারগঞ্জ আদালতে শারিহা আফরিন লুৎফাসহ ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী মনিরুজ্জামান খাঁন। এ বিষয় জানতে মাদারগঞ্জ উপজেলার ভাংবাড়ী জাহিদুল ইসলাম সবুজের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি তবে তার বাবাকে পাওয়া যায়। বাবার কাছে এ বিষয়টি জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম ঘটির বলেন, আমার ছেলে কোন বিয়ে বরে নাই। সে চাকরিতে স্ব-পদে দায়িত্ব পালন করেছে।আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোছা.শারিহা আফরিন লুৎফার বাবার বাড়ি বালিজুড়িতে গেলে সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ভাই আরিফুল ইসলামের কাছে সবুজ ও লুৎফার বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে। তিনি জানান, তার বোন মনিরুজ্জামান খাঁনকে অনেক আগে ডিভোর্স দিয়েছেন। মামলার বাদী মোছা.শারিহা আফরিন লুৎফার স্বামী মনিরুজ্জামান খাঁন জানান, আমার অবর্তমানে সে সবুজের সাথে মিশামিশি করতে জেনে কয়েক দফায় লুৎফাকে সতর্ক করেছি। কিন্তু সে পরিবর্তন না হয়ে আমাকে ছেড়ে ঘরে থাকা অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ১৩লাখ টাকা নিয়ে সে সবুজের সাথে পালিয়ে গেছে। মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল হক জানান, বিষটি অবগত হয়ে ওই দম্পতিকে ডেকে এনে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে তারা মুসলিম ধর্ম মতে শরিয়া মোতাবেক ইমাম দিয়ে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। পরে তাদের স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।