মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

করোনায় কাজ নেই হিলির ছাতা কারিগরদের

মোসলেম উদ্দিন (হিলি) দিনাজপুর :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১

কয়েক বছরের তুলনায় এবছর শুরু হয়েছে আগাম বর্ষাকাল। প্রতি বছর বর্ষাকালের শুরুতেই পুরনো ছাতা মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দিনাজপুরের হিলির ছাতা কারিগররা। কিন্তু করোনার প্রভাবে এবছর হাতে কাজ নেই তাদের। রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে হিলির ছাতা হাটি ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ছাতা কারিগররা হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে। আবার কেউ কেউ দুই একটি ভাঙাচোরা ছাতা পেয়ে, তা মেরামত করছেন। করোনার কারণে মানুষ ঠিকমত বাহিরে আসছে না। আবার হাতেও নেই মানুষের টাকা। হিলিতে সপ্তাহে দুই দিন হাটবার, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হাটে ছাতা কারিগররা ছাতা মেরামত করে থাকে। অন্য দিন তারা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের ছাতা মেরামত করে দেয়। অন্য বছরের বর্ষাকালের চেয়ে এবছর বর্ষায় তেমন তাদের কাজ নেই। প্রতি হাটে তারা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কামাই করতো। এবছর হাটের দিনেও তাদের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কামাই হচ্ছে না। করোনা ছাড়াও এখন আধুনিক যুগ, মানুষ প্রতি বছর নিত্যনতুন ডিজাইনের ছাতা ব্যবহার করে। আধুনিক যুগে ছাতার পরিবর্তে মানুষ এখন রেনকোট বেশি ব্যবহার করছে। আগের দিনে মানুষ বর্ষাকালে শুধু ছাতাই ব্যবহার করে আসতো। এক ছাতা দিয়ে কয়েক বর্ষা তারা পার করতো। আধুনিক যুগে মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। হিলি বাজারে ছাতা মেরামত করতে আসা মোস্তাকিম রহমান বলেন, বাড়িতে দুটি ছাতা ছিলো, গত বর্ষায় নিয়ে ছিলাম। ছাতার কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে, তা ঠিক করতে আসছি। একজন বয়স্ক মজিবর রহমান বলেন, ছয় বছরের পুরনো ছাতা। প্রতি বর্ষার শুরুতে মেরামত করে বর্ষা পার করি। কিন্তু এবছর আর এই ছাতা ঠিক হবে না। কেন না ছাতার সব যন্ত্রপাতি একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে। ঠিক করতে অনেক টাকা লাগবে। তাই চিন্তা করছি এবার নতুন ছাতায় কিনবো। ছাতা কারিগর ৬৫ বছর বয়সী মোকবুল হোসেন বলেন, এপেশায় আর লাভ নেই, মানুষ আর বেশি ছাতার কাজ করে নেয় না। হাটের দিন এখানে কাজ করি, অনহাটে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাজ করি। আমার দুই ছেলে তারা বিয়াশাদী করে আলাদা। বয়স হয়ে গেছে, শরীরে আগের মতো আর জোর নাই। অন্য কোন কামও জানি না, আবার শরীরও আর চলছে না, প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ এই কর্ম করে খাই। ছাতা কারিগর ময়নুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর ধরে ছাতা মেরামতের কাজ করে আসছি। বছরে ছাতা মেরামতের কাজ হয়ে থাকে চার মাস। আগের মতো আর কামাই ধান্দা নাই। আধুনিক যুগে মানুষ এখন আধুনিক জিনিস ব্যবহার করছে। তার পর আবার করোনায় সব শেষ করলো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com