তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে। দোহলপাড়া, পাগলপাড়া গ্রাম রক্ষার এই বাঁধটির ভাঙ্গনে আতংকিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বসত ভিটা ও জমি নদীগর্ভে মিলিন হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে বাঁধটির কিছু অংশে কয়েক মিটার ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন। স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ খানিক আগে উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আকষ্মিক ভাবে বেড়িবাঁধটিতে ভাঙ্গন দেখা দেয়। দু’একদিন পর পানি কমতে শুরু করলে ভাঙ্গণের তীব্রতা বাড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন(৭৫) ও আবু তালেব(৪৮) জানান, ভাঙ্গণের প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও কেউ খোঁজ খবর রাখেনি এমনকি কেউ দেখতেও আসেননি। বর্তমানে বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গার পাশাপাশি একটি অংশে এক’শ ফিট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আতংকে দিন কাটছে আমাদের। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এলাকার প্রায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ার পাশাপাশি বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে এবং হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। অতিদ্রুত বাঁধটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন জানান, আপাতত আমরা স্থানীয় ভাবে বাঁশ ও বালু দিয়ে ভাঙ্গণ রক্ষার কাজ শুরু করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতা বিশেষ দরকার। বাঁধ রক্ষার পদক্ষেপ নিতে আহবান জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের কাছে। জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি জানার পর আজ সেখানে উপ-বিভাগীয় একজন প্রকৌশলীকে পাঠানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুসারে বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে দ্রুত।