আগে তো বিশ্বাস হয় নাই বাহে শেখের বেটি গ্রাম করবে শহর এভাবে কথাগুলো বলছিলেন চাঁদখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা আজিজার রহমান। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসুচির ২৭টি প্রকল্পের হেরিংবন্ডের কাজ ইত্যিমধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে কাদামাটির এ সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এর আগে ওই সড়কগুলো দিয়ে চলাচল দুর্বিসহ হয়ে পড়েছিল। এসব সড়কে আছাড় খাওয়া কিংবা পিছলে পড়ার দৃশ্য ছিল নিত্যনৈমত্তিক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাগুড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের করলাবেচা পাড়া থেকে সুজাল মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত সড়কটির হেরিংবন্ডের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি নির্মানে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৬১ টাকা। বর্ষামৌসুমে কাঁদা ও হাঁটু পরিমান পানি জমে থাকার কারনে রাস্তাটি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা তমেজ উদ্দিন, আবুল হোসেন, সেকেন্দার আলী বলেন, সরকার হামার এই আস্তাটা পাকা করি কিযে একখান উপকার করছে বাহে সেটা বুঝি কবার পাইমনা। হামার মেলা দিনের কষ্ট দুর হইছে। চাঁদখানা ইউনিয়নের বুড়ির হাট চাঁদ মিয়ার বাড়ি থেকে যাদু মিয়ার দোকান পর্যন্ত কাঁচা সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী ছিল। কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৯ টাকা ব্যায় করে ওই সড়কটি এইচবিবি করন করা হয়। এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষ সড়কটির সুফল ভোগ করছেন। ওই এলাকার বাসিন্দা ইয়িছিন আলী, বকুল হোসেন বলেন, বর্ষাকালে কাঁদা পানি এবং গ্রীষ্মকালে ধুলোবালি মাড়িয়ে অনেক কষ্টে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হত। চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে ধর্না দিয়ে কোন কাজ হয়নি। পরে সড়কটি সংস্কারের জন্য নীলফামারী ৪ আসনের এমপির কাছে যাই। এমপি কাবিটার অর্থে সড়কটির এইচবিবি করন করে দিয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ত্রান ও পুর্নবাসন মন্ত্রনালয়ের কাবিটার বরাদ্দ থেকে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত নিচু এবং অবহেলিত গ্রামীণ জনপথের কাঁচা সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়ক হেরিংবন্ডে উন্নীত করা হয়েছে। এতে ব্যায় হয়েছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, কাবিটার অর্থে আগে সড়কে মাটির কাজ করা হত। এতে বর্ষাকালে সড়কগুলো ভেঙ্গে গিয়ে জলাবদ্ধতা হয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হত। পরের বছর আবার সংস্কারের প্রয়োজন পড়ত। তাই নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে কিছু সড়ক হেরিংবন্ড করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার। তাই গ্রামীণ জনপথের উন্নয়নের জন্য কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দ দিয়ে গ্রামীন সড়ক হেরিংবন্ড করা হয়েছে। নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীন এলাকার মানুষকে শহরের মানুষের মতো নাগরিক সুবিধা দিতে সরকার প্রতিশ্রতিবদ্ধ। তাই আমার নির্বাচনী এলাকার বন্যা কবলিত নিচু গ্রামীণ সড়কগুলো কাবিটার অর্থে হিরিংবন্ড করে দেয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জের মত সৈয়দপুরেও একই প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সাথে ছবি আছে