রংপুরের করোনার বিস্থার রোধে চলছে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে আছেন কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। এসব মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী। এ ধারাবাহিকতায় রংপুর বিভাগের এক হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছে সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন। বুধবার (০৭ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস.এম কামরুল হাসান। খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অদৃশ্য করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ্রতিরোধ যুদ্ধে সবাই লড়ছে। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উদ্বুদ্ধ করছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে সচেতন করা হচ্ছে। এই দুর্যোগকালে আমাদের সকলকে বিধিনিষেধ মেনে চলে করোনা মোকাবেলা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর এই মানবিক সহায়তা চলমান থাকবে বলে জানিয়ে মেজর জেনারেল এস.এম কামরুল হাসান বলেন, রংপুরের একশ পরিবারসহ (বুধবার) পুরো বিভাগে সহস্রাধিক পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে সুবিধাভোগীদের হাতে হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রতি প্যাকেটে ৫ কেজি চালসহ মসুর ডাল, আটা, তেল, লবণ ও একটি করে জীবাণুনাশক সাবান রয়েছে। খাদ্য সহায়তা পেয়ে নগরের কেরানীপাড়া এলাকার বৃদ্ধা হাসনা বানু বলেন, ‘করোনা তো হামাক শেষ করি দেচে। লকডাউনোত ঘরে থাকি পেট চলে না। কারো কাজ-কামাই নাই। এই অভাবের দিনোত সেনাবাহিনীর ত্রাণ পানু। খুব উপকার হইল। কয়টা দিন খাওয়া যাইবে।’ বিতরণ কার্যক্রমে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু, কাউন্সিলর মুনতাসির শামীম লাইকো, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অপরাধ) উজ্জ্বল কুমার রায়, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।