টানা ২ সপ্তাহের চলমান লকডাউনে ভালো নেই বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নিন্ম আয়ের মানুষ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ড্রাইভার, ইজিবাইক ড্রাইভারসহ স্বল্প আয়ের লোকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা। সামনে বেঁচে থাকার কোন অবলম্বন খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। এ পরিস্থিতিতে তাদের দু’বেলা ঘরে বসে যাতে খাবার জোটে সে জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন। স্থানীয় শ্রমিক ও ব্যসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোভিড ১৯ হানা দেওয়ার পর থেকে ব্যবসা-বানিজ্য ও কাজে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চলতি মাসে ২ দফায় ১৫ দিনের লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় পর থেকে অনেকেই ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের কোন রোজগারের পথ না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিস্থিতি দিন দিন বেগতিক হওয়ায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন এসব শ্রমজীবি লোকজন। উপজেলা হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস, সুজন শেখ, ফারুখ শেখ, হাফিজ শেখসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, লক ডাউনের পর থেকে তেমন কোন কাজ নেই তাদের। রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এখন আর কেউই খবর নিচ্ছে না তাদের। গত বছর লকডাউনে ইউপি নির্বচনকে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধিরা তাদের অনেকের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিলেও এবার দেখা নেই তাদের। এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। সদর বাজারের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহীম শেখ জানান, কোভিড ১৯ হানা দেওয়ার পর থেকে ব্যবসা দীর্ঘদিন মন্দা যাচ্ছে। এ অবস্থায় পূনরায় লক ডাউনে এখন দোকান বন্ধ থাকায় দারুণ ভাবে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। এ লোকসান কোন ভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি। চিতলমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন জানান, এলাকার ৭ শ’ ভ্যান ওয়ালাদের জন্য নগত ৫ শ’ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। অন্যদের জন্য ত্রাণ সহায়তা পেলে পরবর্ততীতে তাদেরকে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী জানান, লকডাউনে যারা বেকার হয়ে পড়েছেন পর্যায়ক্রমে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।