গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী-গজারিয়া সড়কের এলাকা ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা; চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির আরো খারাপ হলে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এগিয়ে এলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যকরী সদস্য হাজী আক্তার হোসেন। গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী-গজারিয়া সড়কের ভাঙ্গা অংশ নিজস্ব অর্থয়ানে সংস্কার কাজ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যকরী সদস্য হাজী আক্তার হোসেন। সোমবার সকাল ১১টা সরেজমিনে ঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ক’দিন পূর্বের অতি বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙ্গে জলাবদ্ধতার ও পরবর্তীতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।যার ফলে এ পথে যাতায়াতরত যাত্রী ও সাধারণ গ্রামবাসী কে পড়তে হয় দূর্ভোগে।যানবাহন দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন হাজী আক্তার হোসেন। তিনি এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তিনি নিজ অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে অটো চালক আলী হোসেন বলেন, আক্তার হাজী এলাকার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেন, এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে অনেক অসুবিধা হতো, রাস্তাটি সংস্কারের ফলে এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবে। পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক বৃদ্ধা বলেন, গত করনো কালীন সময় থেকে তিনি হোসেন্দী ইউনিয়নের সকল মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, এলাকার হতদরিদ্র কর্মহীন মানুষদের সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করেন। এ বিষয়ে হাজী আক্তার হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এলাকার লোকজনের চলাচলের বিঘœ ঘটে।এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৪/৫ হাজার মানুষ চলাচল করে।এলাকার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে, এ রাস্তাটি সংস্কার করছি এতে এলাকার লোকজনের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হবে। তিনি আরো জানান, এলাকার দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, দরিদ্র অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সহায়তা করেন। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে তিনি এলাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে ব্যাপক ত্রাণ ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন।